Local Train: বর্ষায় আর যাত্রী দুর্ভোগ নয়! রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে শিয়ালদহ ডিভিশনের ১২টি বড় পদক্ষেপ! 

Local Train কলকাতার দৈনন্দিন যাত্রীদের এক বড় নির্ভরতা হল রেল পরিষেবা (Train Services)। বিশেষ করে সল্টলেক, বারাসাত, বনগাঁ বা ক্যানিং লাইনের যাত্রীরা প্রতিদিন শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশন হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। কিন্তু বর্ষা এলেই দেখা যায় বড় বিপত্তি। একটু বেশি বৃষ্টি মানেই রেললাইনের উপর জল জমে যাওয়া, ট্রেন দেরি, কখনও কখনও বাতিল। ...

Updated on:

Local Train: বর্ষায় আর যাত্রী দুর্ভোগ নয়! রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে শিয়ালদহ ডিভিশনের ১২টি বড় পদক্ষেপ! 

Local Train কলকাতার দৈনন্দিন যাত্রীদের এক বড় নির্ভরতা হল রেল পরিষেবা (Train Services)। বিশেষ করে সল্টলেক, বারাসাত, বনগাঁ বা ক্যানিং লাইনের যাত্রীরা প্রতিদিন শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশন হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। কিন্তু বর্ষা এলেই দেখা যায় বড় বিপত্তি। একটু বেশি বৃষ্টি মানেই রেললাইনের উপর জল জমে যাওয়া, ট্রেন দেরি, কখনও কখনও বাতিল। দিনের পর দিন এই সমস্যায় ভুগতে থাকা যাত্রীরা বছরের একটা বড় অংশ ধরে কাটান আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আচমকা বৃষ্টিতে, থমকে যায় গোটা লাইফলাইন! (Rain Affects Local Train Operations in West Bengal)

টানা কয়েকঘণ্টা বৃষ্টি হলেই ট্রেনের চাকা যেন থমকে যায়। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। কর্মজীবী মানুষ থেকে ছাত্রছাত্রী, সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েন। সিঁথি, গড়িয়া, বেহালা, নিউ বারাকপুর, মধ্যমগ্রাম– এমন বহু স্টেশন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায় লাইনের উপর। অনেক সময় সিগন্যাল সিস্টেমেও আসে গোলযোগ। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরেও কেন রেল এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারল না? এবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে উদ্যোগী হল শিয়ালদহ ডিভিশন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

শিয়ালদহ ডিভিশনের বিশেষ বর্ষা পরিকল্পনা (Sealdah Division’s Monsoon Preparedness Plan)

সূত্রের খবর, চলতি বছরে বর্ষার আগে বড়সড় প্রস্তুতি নিয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশন (Sealdah Division)। ইতিমধ্যেই ট্র্যাকে জল জমার সম্ভাব্য ১৭টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বৃষ্টির জলে বেশি সমস্যার আশঙ্কা থাকে, সেসব এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। শুরু হয়েছে ড্রেন সাফাই (Drainage Cleaning), পাশাপাশি পুরনো রেললাইন ও সিগন্যালের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। এছাড়াও যে এলাকাগুলিতে জল জমে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়, সেখানে প্রয়োজনে পাম্প বসানো হবে বলে জানা গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

২৪ ঘণ্টার মনিটরিং ও ইমারজেন্সি টিম প্রস্তুত (Emergency Control Room and Monitoring System)

শুধু আগেভাগে পরিকাঠামো গুছিয়ে নেওয়াই নয়, বর্ষাকাল চলাকালীনও যাতে পরিষেবা ব্যাহত না হয়, তার জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে একটি স্পেশাল কন্ট্রোল রুম (Control Room)। থাকবে আলাদা ইমারজেন্সি টিম (Emergency Response Team), যারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে। ট্র্যাক মনিটরিং ও সমস্যা রিপোর্ট করার জন্য চালু হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ভিত্তিক গ্রুপও। রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাফাইকর্মীদের নিয়ে গড়া হয়েছে টাস্ক ফোর্স (Task Force), যারা প্রতিদিনের অবস্থা রেকর্ড করবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে।

শেষমেশ রেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণা আশার আলো দেখাচ্ছে Local Train (Official Measures to Ensure Smooth Train Services)

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবছর বর্ষায় যাত্রীদের যাতে আগের মতো ভোগান্তি না হয়, তার জন্য শিয়ালদহ ডিভিশনের অধীনে প্রায় ৭০০ জন কর্মী নিয়োজিত থাকবেন বিভিন্ন স্টেশনে। সঙ্গে থাকছে ৪টি ড্রেন ক্লিনিং মেশিন (Drain Cleaning Machine), ১৫০টি পাম্পসেট (Pump Sets) এবং ২টি মোবাইল মনিটরিং ভ্যান। শিয়ালদহ, কৃষ্ণনগর, ক্যানিং, রানাঘাট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শাখায় নিয়মিত নজরদারি চলবে। কর্তৃপক্ষের মতে, এইবারের প্রস্তুতি আগের চেয়ে অনেক উন্নত এবং সুসংগঠিত। এখন দেখার বিষয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এবং যাত্রীরা স্বস্তি পান কিনা।