National Film Awards: শুক্রবার ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচারক মন্ত্রক। কে হবে সেরার সেরা সেই নিয়ে চলেছে জল্পনা।নয়াদিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে বসে সাংবাদিক সম্মেলন, সেখানেই একে একে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হল।
কিন্তু বলিউড বনাম দক্ষিণের লড়াইয়ে ফের এগিয়ে থাকল দক্ষিণী সিনেমা।অবশেষে সকলকে পিছনে সেরা ছবির পুরস্কার ছিনিয়ে নিল মালায়ালি ছবি আত্তম (Aattam), শুধু তাই নয় এবার সেরা অভিনেতার পুরস্কারও গেল দক্ষিণী অভিনেতার ঝুলিতেই।
কান্তারা ছবির জন্য ঋষভ শেট্টি সম্মানিত হলেন সেরা অভিনেতার সম্মানে। গত বছর আল্লু অর্জুন পেয়ে ছিলেন এই পুরস্কার। কিন্তু এবারও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গেল দক্ষিণেই। তিরুচিত্রম্বলাম নামক তামিল ছবির জন্য পুরস্কার পেলেন নিত্যা মেনন। গুজরাতি ছবি কচ্ছ এক্সপ্রেসের জন্য মানসী পারেখও যৌথভাবে এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন।
সেরা পরিচালকের তকমা পেয়েছেন ‘উঁচাই’ ছবির জন্য সূরজ বরজাতিয়া। সেরা সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন প্রীতম তাঁর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির কাজের জন্য। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সেরা বাংলা ফিচার ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে ফিচার ফিল্মের ক্ষেত্রে মোট ২৭টি বিভাগ, নন-ফিচার ফিল্মের ক্ষেত্রে ১৫টি বিভাগ ও বেস্ট রাইটিং অন সিনেমার ক্ষেত্রে ২টি বিভাগে পুরস্কার ঘোষণা হয়।
সেরার পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে কান্তারা, গুলমোহর, কাবেরী অন্তর্ধানের মতো ছবিরা। জাতীয় মঞ্চে মনজয় করেছে বাংলার জিয়াগঞ্জের ছেলে গায়ক অরিজিৎ সিং। ব্রহ্মাস্ত্র ছবির জন্য় পুরস্কার ঝুলিতে এসেছে তাঁর। অন্যদিকে, ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরা বাংলা ছবির শিরোপা জিতে নিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। অন্যদিকে জোড়া জাতীয় পুরস্কার এল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’র ঝুলিতে। সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন এবং রূপটানের জন্য জাতীয় মঞ্চে জোড়া শিরোপা পেল ‘অপরাজিত’।
এবার দেখা যাক বাকি পুরস্কারের তালিকা:
বেস্ট রাইটিং অন সিনেমা (Best Writing On Cinema)অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে যে সিনেমা গুলি সে গুলি হল বেস্ট ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড – দীপক দুয়া (হিন্দি),বেস্ট বুক অন সিনেমা – কিশোর কুমার দ্য আল্টিমেট বায়োগ্রাফি (অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য ও পার্থিব ধর) ইংরেজি। নন ফিচার ফিল্ম (Non Feature Film)অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন স্পেশাল মেনশন – অসমীয়া ছবি ‘উইচ টু পদ্মশ্রী’ ও ‘হরগিলা – দ্য অ্যাডজাটেন্ট স্টর্ক’। ,বেস্ট স্ক্রিপ্ট – মোনো নো অ্যাওয়ার (হিন্দি ও ইংলিশ) কৌশিক সরকার,বেস্ট ন্যারেশন/ভয়েস ওভার – মারমার্স অফ দ্য জাঙ্গল (মারাঠি) – সুমন্ত শিন্ডে (ডকুমেন্টারি),বেস্ট মিউজিক ডিরেক্টর – ফুরসত (হিন্দি) বিশাল ভরদ্বাজ,বেস্ট এডিটিং – মধ্যান্তর (কন্নড়) – সুরেশ আর্স,বেস্ট সাউন্ড ডিজাইন – যান (হিন্দি/মালবী) – মানস চৌধুরি,বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি – মোনো নো অ্যাওয়ার (হিন্দি ও ইংলিশ) – সিদ্ধার্থ দিওয়ান,বেস্ট ডিরেকশন – ফ্রম দ্য শ্যাডো (বাংলা/হিন্দি/ইংলিশ) – মিরিয়াম চণ্ডী মেনাচেরি,বেস্ট শর্ট ফিল্ম (৩০ মিনিট) – ঊন্যতা (ভয়েড) অসমীয়া বেস্ট অ্যানিমেশন ফিল্ম – এ কোকোনাট ট্রী (সাইলেন্ট) ,বেস্ট নন-ফিল্ম প্রোমোটিং সোশ্যাল অ্যান্ড,এনভায়রনমেন্টাল ভ্যালুজ – অন দ্য ব্রিঙ্ক সিজন ২ – ঘারিয়াল (ইংলিশ) – আকাঙ্ক্ষা সুদ সিং,বেস্ট ডকুমেন্টারি – মারমার্স অফ দ্য জাঙ্গল (মরাঠি) – সোহিল বৈদ্য,বেস্ট আর্টস অ্যান্ড,কালচার ফিল্ম – ১. রাঙ্গা ভিবোগা (টেম্পল ডান্স ট্রেডিশান) কন্নড়, ২. বর্ষা (লেগাসি) – মরাঠি,বেস্ট বায়োগ্রাফিকাল হিস্টোরিকাল,রিকনস্ট্রাকশন/কমপাইলেশন ফিল্ম – আনাখি এক,মহেঞ্জোদারো (মরাঠি) – অশোক রানে,বেস্ট ডেবিউ ডিরেক্টর – মধ্যান্তর (কন্নড়) – বস্তি দীনেশ শিনয়,বেস্ট নন-ফিচার ফিল্ম – আয়না (হিন্দি/উর্দু) – সিদ্ধান্ত সারিন