স্টেশনে পৌঁছে প্রথমেই নজরে পড়ত চা-ওয়ালার হাঁক, পাশের স্টলে বসে থাকা জল বা স্ন্যাক্সের বিক্রেতারা। অফিস টাইম হোক বা বাড়ি ফেরার পথে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে গরম চায়ে চুমুক না খেলে যেন যাত্রাটাই অসম্পূর্ণ লাগত। বিশেষ করে দমদম ও বিধাননগর (Dumdum & Bidhannagar) স্টেশনের সঙ্গে জুড়ে ছিল হাজারও কলকাতাবাসীর স্মৃতি। স্টেশন মানেই যেন শুধু ট্রেন ধরার জায়গা নয়, বরং কিছু ছোট ছোট মুহূর্তের সঞ্চয়স্থান।
দীর্ঘদিন ধরেই শহরতলির স্টেশনগুলিতে স্থান সংকট ও ভিড় নিয়ে সমস্যার কথা উঠে এসেছে। কিন্তু তারপরেও স্টেশনের রোজকার দৃশ্য ছিল সেই একই—স্টল ঘেরা প্ল্যাটফর্ম, হাঁটাচলার পথে হকারের ভিড়, আর যাত্রীদের ঠেলাঠেলি। সেই চেনা ছবি এবার এক ধাক্কায় বদলে যাচ্ছে। অনেকের কাছেই এই পরিবর্তন হবে আবেগের, কারও কাছে স্বস্তির।
রেলের পরিকল্পনায় বড় বদল (Sealdah Division Railway Station Transformation)
রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে এবং স্টেশনে অনর্থক ভিড় কমাতে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে দমদম ও বিধাননগর (Dumdum & Bidhannagar station) স্টেশন থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে সমস্ত দোকান ও ভেন্ডার স্টল (vendor stalls)। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। তবে এখানেই শেষ নয়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, স্টেশন পরিকাঠামো (station infrastructure) উন্নয়নের কাজও শুরু হচ্ছে একসঙ্গে। কিন্তু কেন এই হঠাৎ এমন বড় পদক্ষেপ, তাও আবার এত গুরুত্বপূর্ণ দুই শহরতলি স্টেশনে?
Read More: New Auto Bus Route: আর ঠেলতে হবে না বাস, ট্রামের ভিড়; কলকাতায় নতুন অটো ও বাস রুটের সূচনা সরকারের

প্রতিদিন লাখের উপর যাত্রী চলাচল (Sealdah Division Passenger Traffic Problem)
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, দমদম স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২২২ জোড়া লোকাল ট্রেন এবং বিধাননগর স্টেশন দিয়ে ২১৬ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। শুধুমাত্র বিধাননগরেই প্রতিদিন প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী ওঠানামা করেন, যার মধ্যে এক লক্ষের বেশি যাত্রী চলাচল করেন অফিস টাইমে। দমদম স্টেশনেও সংখ্যাটা ১.৫ লক্ষের কাছাকাছি। এই বিপুল যাত্রী ভিড় সামলাতে গিয়ে স্টলে আটকে থাকছে চলাচলের পথ, তৈরি হচ্ছে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা। ফলে যাত্রী সুরক্ষা ও সময় বাঁচাতে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও কিছুটা অসুবিধা হবে স্বীকার করছেন কর্তৃপক্ষ, তবে দীর্ঘমেয়াদে তা যাত্রী স্বার্থেই হবে—এমনটাই বিশ্বাস।
আধুনিকীকরণের পথে স্টেশন (Sealdah Division Station Modernization Plan)
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি স্টেশনগুলিতে আরও কিছু আধুনিক সুবিধা (modern facilities) যুক্ত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যেমন—নতুন ও আধুনিক ট্রেন ইনফরমেশন বোর্ড (train information board), উন্নত পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম (public address system) এবং টিকিট কাউন্টার (ticket counters) সংস্কার করা হবে। বিশেষ করে দমদম স্টেশনের আরপিএফ ব্যারাকের পাশে একটি নতুন বুকিং অফিস (booking office) তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই রূপান্তর শুধু স্টল সরানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো স্টেশনের লুক অ্যান্ড ফিল বদলে দেবে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। যাত্রীদের জন্য এটি হবে আরও সুবিধাজনক, দ্রুত এবং নিরাপদ এক অভিজ্ঞতা।
মূল লক্ষ্য যাত্রী স্বার্থে সুরক্ষা (Sealdah Division Passenger Safety and Convenience is Priority)
রেল আধিকারিকদের মতে, Sealdah Division এই রূপান্তর সাময়িক অস্বস্তির কারণ হলেও ভবিষ্যতে এটি বড় সুবিধা এনে দেবে। বিশেষত পিক আওয়ারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর ভূমিকা নেবে। দমদম ও বিধাননগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরতলি স্টেশনগুলিতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা যাত্রীসংখ্যার কথা মাথায় রেখে স্টেশন গুলিকে ভবিষ্যতের উপযোগী করাই রেলের উদ্দেশ্য। এই বড়সড় সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বদলে যাবে স্টেশনের চেহারা, আর যাত্রীরাও পাবেন আরও সুসংগঠিত পরিষেবা। অর্থাৎ, স্টেশন হবে শুধু ট্রেন ধরার জায়গা নয়, বরং এক আধুনিক, সুশৃঙ্খল যাতায়াত কেন্দ্র।
Read More: Jagannath Rath Yatra 2025: জগন্নাথদেবের হাত-পা নেই কেন? অসম্পূর্ণ জগন্নাথের মূর্তির পিছনের রহস্য
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |