ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের নয়া উদ্যোগ! মাসের শুরুতেই থাকবে ৩০০০ টাকার অনুদান!

প্রত্যেক মাসের শুরুতেই ই-শ্রম কার্ডধারীরা ৩,০০০ টাকা পেতে পারেন, যা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এটি কেন্দ্র সরকারের একটি উদ্যোগ, যা দেশের কোটি কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুবিধা নিশ্চিত করা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ...

Published on:

ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের নয়া উদ্যোগ! মাসের শুরুতেই থাকবে ৩০০০ টাকার অনুদান!

প্রত্যেক মাসের শুরুতেই ই-শ্রম কার্ডধারীরা ৩,০০০ টাকা পেতে পারেন, যা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এটি কেন্দ্র সরকারের একটি উদ্যোগ, যা দেশের কোটি কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুবিধা নিশ্চিত করা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এবং কারা এই সুবিধা পাবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পের উদ্দেশ্য

ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য চালু করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরি করা হবে, যা শ্রমিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করবে এবং তাদের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিশ্চিত করবে। যারা এখনো এই কার্ড তৈরি করেননি, তারা সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে এটি তৈরি করতে পারবেন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

ই-শ্রম কার্ড কী?

ই-শ্রম কার্ড হল একটি ডিজিটাল পরিচয়পত্র, যা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি শুধু একটি তথ্যভাণ্ডার নয়, বরং এটি শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার একটি মাধ্যম।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

More: Ration Card: এই ২ ভুলে রেশন কার্ড চিরতরে বাতিল! এখনই চেক করুন আপনার কার্ড অ্যাকটিভ কিনা

ই-শ্রম কার্ডের জন্য যোগ্যতা

যেকোনো ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তি, যারা অসংগঠিত খাতে কাজ করেন এবং তাদের নির্দিষ্ট কোনো আয়ের উৎস নেই, তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে, যারা ইতিমধ্যে ভবিষ্যৎ তহবিল সংস্থা (EPFO), রাজ্য বীমা কর্পোরেশন (ESIC), বা জাতীয় পেনশন স্কিম (NPS)-এ নথিভুক্ত রয়েছেন, তারা এই কার্ডের জন্য যোগ্য নন।

ই-শ্রম কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

১. সরকারি ওয়েবসাইটে যান – প্রথমে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

২. নিবন্ধন করুন – হোমপেজ থেকে “রেজিস্টার ই-শ্রম” অপশনে ক্লিক করুন।

৩. ব্যক্তিগত তথ্য দিন – আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা কোড দিন।

৪. EPFO/ESIC সদস্য কিনা যাচাই করুন – যদি না হন, তাহলে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।

৫. ওটিপি যাচাই করুন – মোবাইলে প্রাপ্ত ওটিপি লিখে “সাবমিট” করুন।

6. ব্যক্তিগত ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করুন – আপনার কর্মক্ষেত্র, দক্ষতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ইত্যাদি প্রদান করুন।

৭. নথি আপলোড করুন – আধার কার্ড, ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।

৮. ফর্ম সাবমিট করুন – সমস্ত তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন এবং ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করুন।

যদি আপনার মোবাইল নম্বর আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক না থাকে, তবে নিকটস্থ CSC সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

Related: New Ration System: এই কার্ড না থাকলেই মিস করবেন ফ্রি রেশন! আপনার নাম কি রইল তালিকার বাইরে? কীভাবে করবেন আবেদন?

ই-শ্রম কার্ড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি

১. আধার কার্ড

২. ব্যাংকের বিবরণ

৩. আধারের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর (অন্যথায় CSC সেন্টারে যেতে হবে)

ই-শ্রম কার্ডধারীদের সুবিধা

১. মাসিক পেনশন সুবিধা – নির্দিষ্ট বয়সের পর ই-শ্রম কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা পেনশন পাবেন।

২. দুর্ঘটনা বিমা সুবিধা – কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। আংশিক শারীরিক ক্ষতির ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।

৩. গৃহ নির্মাণ সহায়তা – যাদের নিজস্ব বাড়ি নেই, তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

৪. গর্ভবতী শ্রমিকদের সহায়তা – গর্ভবতী শ্রমিকরা বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাবেন, যা তাদের মাতৃত্বকালীন খরচ বহন করতে সহায়তা করবে।

৫. শিশুদের শিক্ষার জন্য সহায়তা – শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

Read More: ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের নয়া উদ্যোগ! মাসের শুরুতেই থাকবে ৩০০০ টাকার অনুদান!

ই-শ্রম কার্ড প্রকল্প অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করতে সহায়ক। এটি শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র নয়, বরং এটি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে। তাই, যারা এখনো এই কার্ড তৈরি করেননি, তারা দ্রুত আবেদন করে সরকারের দেওয়া সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।