Actor Sayan Bose Opens Up About His Acting Journey: টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা সায়ন বসু (Sayan Bose)। একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন সায়ন। কালার্স বাংলার একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক টুম্পা অটোওয়ালিতে তার অভিনয় মন জয় করেছে দর্শকদের। ধারাবাহিকটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা। ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার পরই তিনি সুযোগ পেয়ে যান আর একটি নতুন ধারাবাহিকে। সম্প্রতি জি বাংলার বাংলা টকিজের প্রযোজিত নতুন ধারাবাহিক ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’-তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে সায়নকে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ধারাবাহিকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা জানিয়েছেন, তার টুম্পা অটোওয়ালি ধারাবাহিকের শেষ শুটিং হয়েছিল ২৮ তারিখ। ২৭ তারিখ তিনি সুযোগ পান এই নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের। যদিও ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন ফলে ২৭ তারিখ কথা বলে ২৮ তারিখ শুটিং শেষ করে ২৯ তারিখ সকালে লুক সেট করে তিনি চলে যান সোজা হিমাচলে। যদিও প্রথমে তাকে জানানো হয়েছিল ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরতে হবে তবে অনেক অনুরোধ করে সেটাকে ৬-৭ দিনের করেছিলেন তিনি।
অভিনেতা (Sayan Bose) হওয়ার ইচ্ছেই ছিল না কোনোদিন। সায়ন জানান ২০১৮ এর আগে অভিনয়ের আসার ইচ্ছা তার ছিল না। তাঁর কথায়, “আমি ৬ বছর কর্পোরেট ছিলাম। আমি ফাইন্যান্সে কাজ করেছি। আমি মার্কেটিংয়ে কাজ করেছি। তারপর আমি এমবিএ করার জন্য কলকাতায় ফিরেছিলাম তারপর ক্যাট দিই। কলেজ শেষ করে আমি বোম্বে যাই। আমি ব্যাঙ্গালোর, কারজাত, ভাইজ্যাক, বোম্বে, হায়দরাবাদে ছিলাম। এটাই ছিল আমার ২০১২ থেকে ২০২২ এর জার্নি। তার আগেই আমার খেলায় খুব মন ছিল। আমার ১২ ক্লাসের আগে আমি মুম্বাইয়ে খেলার সুযোগ পাই কিন্তু সেখানে আমার জলটা ঠিক ভালো লাগেনি শরীর খারাপ হয়ে গেছিল। তাই বাবা চেয়েছিলেন পড়াশোনায় মন দিই সেই কারণেই ফিরে আসি।”
অভিনেতা (Sayan Bose) এও বলেন “বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে চাকরি করুক আমি করেছি কিন্তু সেই মনের শান্তিটা আসেনি। তারপর ২০১৭ তে আমি ভাইজ্যাকে যখন ছিলাম আমি সেখানে থিয়েটারের জন্য খোঁজ নিই। তবে ওখানে হিন্দি, ইংরেজির থিয়েটার পাইনি বেশিরভাগ তামিল। তাই সেখানে বেহালা শিখেছি কিন্তু দেখলাম হচ্ছে না। আমি আসলে সেই মানুষদের মধ্যে পড়ি যারা জন্ম থেকে জানেনা তারা কি করবে। তারপর আমি মুম্বাইতে গিয়ে থিয়েটার করেছি ৩ বছর। সঙ্গে কাজও করেছি। এরপর দেখলাম এটাই করতে চাই। মাকে বলেছিলাম এরপর লকডাউনের সময় বাড়িতে এসে বাবাকে বলি। অনলাইন ক্লাস করেছিলাম। তারপর ‘লস্ট’ বলে একটা সিনেমায় কাজ করি খুব ছোট রোল, সেখানেই আমার হাতে খড়ি। এরপর এই ধারাবাহিকে সুযোগ পাই।”
অভিনেতার কথায় তিনি নিজের জীবনে বারবার রিক্স নিয়েছেন। কারণ আর্থিক সমস্যায় কখনও পড়েননি তিনি। তবে নিজের প্রতি সর্বদাই আত্মবিশ্বাস রেখেছেন সায়ন। তার সঙ্গে লোকের কথা কখনোই গায়ে মাখেননি তিনি। প্রেমের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা বলেছেন “সায়নের প্রেমে পড়া বারণ নেই। সায়ন খুব রোমান্টিক মানুষ নয়। তবে যে আছে সে অনেকদিন ধরেই আছে। সে খুব খুশি। যখন প্রথম সিরিয়াল হয়েছিল সেখানে ছিল সবটা দেখেছে। আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান যদি কেউ হয়ে থাকে সেই আমার ডাই হার্ট ফ্যান। আমি যাই করব সে খুশি।”