Anubrata Mondal: বীরভূম তৃণমূলে জেলা সভাপতি তিনি। দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকলেও তার উপরেই ভরসা রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। কেষ্টর গ্রেফতারি ব্যথিত করেছিল মমতাকে। দলের তরফে বারবার জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের খবর নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা।
কন্যা সহ সেই কেষ্ট ফিরছেন তার নিজের ভূমিতে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরেই বাড়িতে ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের তরফ থেকে সব রকম সহায়তা করবার আশ্বাস দেওয়া হয়। একসময় তার ডাকে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তিনি বলতেন নিজেই নাকি দুটো খাসি খেয়ে ফেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, তার প্রিয় খাদ্য দুই থালা ভাত। কিন্তু জেলে থেকে সমস্যায় পড়েছিলেন অনুব্রত। কমে গিয়েছিল প্রায় ৩০ কেজি ওজন। জেলের বাইরে যখন পা রাখবেন অনুব্রত তাকে নাকি চিনতেই পারা যাবে না বলছেন তার আইনজীবী।
২০২২ সালের ১১ই আগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রথমে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই এরপরে তাকে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। তিহার জেলেই রয়েছেন প্রায় দুই বছর। শুক্রবার দিল্লির আদালত তাকে জামিন দেয়। তারপরেই নাকি মুখে হাসি ফোটে অনুব্রতর।
এদিকে মেয়ে রুবাই পেয়েছেন জামিন, এ কথা শুনেও নাকি আনন্দের চোখে জল এসে গিয়েছিল তার। একাধিক সরকারি হাসপাতালে করানো হয়েছিল তার চিকিৎসা, কিন্তু তারপরেও শরীর যেন ভেঙে গিয়েছিল তার। এমনকি জেল থেকে বেড়ানোর খবর আসলেও ততটা উৎফুল্ল হতে পারেননি অনুব্রত। ২০২২ সালে যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি ওজন ছিল ১১৫ কেজি। সেই অনুব্রত মণ্ডলের ভোল একেবারে গিয়েছে পাল্টে।
সম্পূর্ণ ছিপছিপে হয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও রোগ এখনো তাকে পিছু ছাড়েনি। ওজন কমার জন্য অবশ্য শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন। দিল্লি আনার পর কয়েক মাসের মধ্যেই হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলেন অনুব্রত। এখনো হুইল চেয়ারে করেই যাতায়াত করেন তিনি। বিচারকের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ অনুব্রত ভিডিও কনফারেন্সে হাজিরা দিতেন। অপেক্ষা এখন বাঘের নিজের ঘরে ফেরার।