BSNL Mobile Tower Installation: যত সময় যাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে। এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে দাঁড়িয়ে চাকরি ব্যবসার পাশাপাশি অতিরিক্ত ইনকাম করতে সকলেই চান। তাই আপনার যদি নিজস্ব বাড়ি থাকে আর বাড়িতে যদি বড় ছাদ থেকে থাকে তাহলে আজ এই ব্যবসা শুরু করুন, বাড়িতে বসেই আসবে কয়েক হাজার টাকা।
প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই জানেন গত জুলাই মাসের প্রথম দিকেই জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোনের মত বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের মূল্য বাড়িয়ে তুলেছে। আর প্রতিটি কোম্পানি 25 শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধি করেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়ছে। কারণ প্রতি মাসে এত টাকা দিয়ে স্মার্টফোন রিচার্জ করা অনেকের পক্ষেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
আর এরপরে অনেক গ্রাহক তাদের পুরনো সিম ছেড়ে BSNL সিম কিনতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে তাদের ফোন নাম্বার BSNL এ পোর্ট করিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু BSNL সিম কেনার আগে আপনি একটু যাচাই করে নেবেন আপনার এলাকায় BSNL-এর নেটওয়ার্ক কেমন পরিষেবা দেয়। কারণ এখনো অনেক জায়গাতে BSNL তাদের 4g পরিষেবা চালু করতে পারেনি। তাই আপনার এলাকায় BSNL-এর পরিষেবা চালু আছে কিনা সেই খোঁজখবর নিয়েই সিম কিনুন। যদি আপনার বাড়ির ছাদে জায়গা থাকে তাহলে সেখানে BSNL এর টাওয়ার বসাতে পারেন। এতে একদিকে যেমন নেটওয়ার্কের কোনো প্রবলেম থাকবে না, তেমনি মাস গেলে একটা মোটা আয় হবে। কিভাবে বাড়ির ছাদে টাওয়ার বসানো যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি সম্পর্কে।
আপনি যদি আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে যেকোনো ব্রাউজারে Indus Tower লিখে সার্চ করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে। এরপর সেখানে স্ক্রিনের ডানদিকে “Landowners” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যে সমস্ত তথ্য চাইবে সেটা দিয়ে আবেদন করতে হবে। তাহলেই আপনার বাড়িতে কোম্পানির তরফ থেকে লোক আসবে ইন্সপেকশনের জন্য। ইন্সপেকশন হওয়ার পর সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার সাথে চুক্তি করে টাওয়ার বসানো হবে, যার বদলে প্রতিমাসে মোটা আয় করা যেতে পারে।
আপনি যদি বাড়ির ছাদে টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে প্রতিমাসে একটা ফিক্স ইনকাম হবে। কতটাকা ভাড়া দেওয়া হবে, কত বছরের জন্য চুক্তি হবে সবটা দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাছাড়া টাওয়ার বসানো হলে সেটার থেকে রেডিয়েশন বা বিকিরণ হয় যেটা খুব বেশি সময় ধরে হতে থাকলে ঘুমের সমস্যা, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, মাথাব্যথা এমনকি ক্যান্সারের মত মারাত্বক রোজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।