Arijit Singh: অরিজিৎ সিংকে (Arijit Singh) চেনেন না এরকম মানুষ এই দেশে খুব কমই আছে। এমনকি বিদেশের মাটিতেও তার রমরমা চলে। ‘সারেগামাপা’ তে গাইতে আসা একজন অসফল প্রতিযোগী থেকে আজ সাফল্যের শীর্ষে বিরাজ করছেন তিনি। সেই শো তিনি জিততে না পারলেও জীবণের প্রতিযোগিতায় তিনি অনেক এগিয়ে রয়েছেন। গানের জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হচ্ছেন অরিজিৎ সিং।
তার গলার মধ্যে যেন আলাদাই একটা ম্যাজিক অনুভব করেন শ্রোতারা। কেউ তার গান সুখে শোনে, কেউ দুঃখের সময়। এত বড় মাপের একজন গায়ক হয়েও তিনি একেবারে মাটির মানুষ। আর সেই কারণেই সকলের ভীষণ পছন্দের একজন অরিজিৎ সিং। বরাবরই মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে এসেছেন তিনি। তার কথায় শ্রোতারাই তার কাছে ঈশ্বর। কারণ তিনি আজ যা কিছু সব এই শ্রোতাদের জন্যই। তবে এবারে একেবারে অন্যরকমের উদ্যোগ নিলেন অরিজিৎ সিং।
অরিজিৎ সিং থাকেন জিয়াগঞ্জে। সেইখানে একটি নামকরা রেস্তোরাঁ খুলেছেন তার বাবা সুরেন্দ্র সিং। সেই রেস্তোরার নাম ‘হেঁসেল’। ইতিমধ্যেই এই রেস্তোরাঁটি যথেষ্টই নাম করেছে। সকাল ১১ টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই হোটেল। দেশ-বিদেশের রমরমা ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরার সামনে। যথেষ্ট জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁর সব দায়িত্বই অরিজিৎ সিং এর বাবা এবং সেই রেস্তোতার ম্যানেজার রাজু। ২৯ জন কর্মী এই রেস্তোরায় কাজ করেন। কলেজের পাশে এই রেস্তোর অবস্থান করায় দিনরাত ভিড় লেগে থাকে। ৩০ টাকায় ভেজ থালি দেওয়া হয় পড়ুয়াদের এখন যদিও তা বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। রয়েছে পার্সেলের ব্যবস্থা। এছাড়াও নানান পদ থেকে বিরিয়ানি রয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
What Arijit Singh did for peoples during summer:
অরিজিৎ সিং-এর রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্য অর্থ নয় বরং কম টাকায় খাবার সরবরাহ করা। এরকম সুবিধার পর আবার নতুন উদ্যোগ নিয়ে এলো তারই রেস্তোরাঁ। এর সামনে একটি ঠান্ডা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে পথ চলতি লোকেরা এই তীব্র গরমে একটু জল খেয়ে স্বস্তি পায়। এই তীব্র গরমে একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হলো জল। তাই রাস্তার উপর এই জলের ব্যবস্থাটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Dadagiri 10: রবিবারে সফর শেষ দাদাগিরির! ফাইনালের মঞ্চে একসঙ্গে সৌরভ-ডোনা! দর্শকদের জন্য দারুন চমক
আর সেটি করেছেন অরিজিৎ সিং। ঠান্ডা জল পেয়ে পথচলতি মানুষেরা ভীষণ খুশি। তীব্র দাবদাহে মানুষের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে, প্রাণ বেরিয়ে যায় যায়,তাই মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। গ্লুকোজ মেশানো ঠান্ডা পানীয় তুলে দেওয়া হচ্ছে আমজনতার হাতে। এই হাঁসফাঁস পরিস্থিতিতে জলই যেন স্বর্গ হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে। এই উদ্যোগে মানুষ যেমন খুশি তেমনি সাধুবাদ জানাচ্ছেন অরিজিৎ সিংকে। বক্তব্যে তারা জানিয়েছেন অরিজিৎ সিং তাদের জন্য যা করেছেন তা প্রশংসারও ঊর্ধ্বে।