Bangladesh Hilsa: গণঅভ্যুত্থানের অস্থিরতা কাটিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। খুলেছে ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্দরগুলি। তবে বাংলার ইলিশের আমদানি আপাতত বন্ধই রয়েছে। পদ্মার ইলিশের পরিবর্তে এপার বাংলায় জায়গা করে নিয়েছে ইরাবতী নদীর ইলিশ। ঘাটতি মেটাচ্ছে কোলাঘাটও। মালদার (Malda) বাজার জুড়ে এখন এপার বাংলার ইলিশ। তাই মালদাবাসী মজেছে ইরাবতী আর কোলাঘাটের ইলিশে।
ইলিশের নাম উঠবে আর পদ্মার ইলিশ নিয়ে কথা হবে না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বাঙালির ইলিশ আবেগ নিয়ে আবহাওয়াকে ইলশেগুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে চিহ্নিত করেছেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু। বর্ষার ইলিশের রকমারির পদ বাংলার বৈশিষ্ট। তা দুপার বাংলাতেই।
তবে এবছর পদ্মার রুপালি শস্যের দেখা মিলবে কি না! তা এখনই বলা সম্ভব নয়। হিমঘরে স্টকে থাকা পদ্মার ইলিশ (Bangladesh Hilsa) শেষ। পদ্মার বিকল্প হিসেবে জায়গা করছে ইরাবতী ও কোলাঘাট। জেলা তথা উত্তরবঙ্গে সর্ববৃহৎ রথবাড়ি বাজারে শুক্রবার সকালে ২০ কুইন্টালেরও বেশি ইলিশ নেমেছিল। মালদা থেকেই বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, রায়গঞ্জ সহ একাধিক বাজারে কোলাঘাট আর ইরাবতী বা মায়নমারের মাছ পাঠানো হয়। রথবাড়ি মাছ বাজারে এই ইলিশের দাম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি।
তবে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৭০০ থেকে ১০০০ এর মধ্যে। ইলিশের পাইকারি বিক্রেতা সাহেব মহলদার জানান, ‘প্রতিবছরই বর্ষার মরশুমে বাংলার ইলিশ আমাদের বাজারে আসে। তবে পদ্মার ইলিশ সরাসরি মালদায় আমদানির কোনও ব্যবস্থা নেই। আমাদের কলকাতা পোর্ট থেকে সেখানকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আনতে হয়। পদ্মার ইলিশের আগাম বরাত দেওয়া থাকলেও এবছর বাংলার ইলিশ মালদার বাজারে আনতে পারেনি। বাংলাদেশের অস্থির পরিবেশের জন্যই ইলিশের আমদানিতে প্রভাব পরে৷
গত বছর, দুর্গাপূজার ঠিক আগে, বাংলাদেশ সরকার ভারতে প্রায় ৩,৯৫০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ বিক্রির অনুমতি দেয়। এ বছর অবশ্য মনে হচ্ছে এই পরিমাণ বাংলাদেশি ইলিশ হয়তো আসবে না।
আরও পড়ুন: Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের রয়েছে লাভজনক ১০ স্কিম, মিলবে ৪% থেকে ৮.২% সুদ!