Tarapith: সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা। আর এই অমাবস্যা তিথিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান তারাপীঠে। হাজার হাজার ভক্তরা এই অমাবস্যাতে পুজো দিতে আসেন মায়ের কাছে। দূর দূর থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন এই সময় তারাপীঠে। সাধক বামাক্ষ্যাপা এই তারাপীঠেই নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছেন তার সাধ্য সাধনা তিনি এখানেই করেছেন দিনরাত।
ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার সময়তেও এখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তারাপীঠের আদি দেবী মা তারা। সব দেবদেবীর ঊর্ধ্বে তিনি। তাই সকল দেবীরূপে মা তারাকে পুজো করা হয়। কখনও তিনি দুর্গা, তিনি লক্ষ্মী, তিনি সরস্বতী,আবার কখনও তিনি কালী রূপে পূজিত হয়ে থাকেন। আর সেই কারণেই এই কৌশিকী অমাবস্যায় জনজোয়ার হয়ে থাকে।
প্রতিবছরের মতো এই বছরও কৌশিকী অমাবস্যা পালন করা হবে বীরভূমের তারাপীঠে। এই বছর কৌশিকী আমাবস্যা শুরু হচ্ছে বাংলার ১৫ই ভাদ্র রবিবার ভোর ৫ টা ৭ মিনিট থেকে ১৭ ভাদ্র মঙ্গলবার সকাল ৬ টা বেজে ৩১ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ইংরেজির ২ সেপ্টেম্বর। তবে গত দুই বছর থেকে দেখা গেছে বিভিন্ন কারণে তারাপীঠে সেই ভাবে ভিড় হয়নি। তার জন্যই এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন প্রশাসন।
প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, প্রত্যেক বছর তিন দিনের জন্য হোটেল বুকিং এর প্যাকেজ রাখা হয়ে থাকে। ফলে যে কোনও বড় হোটেলের খরচপড়ে যায় অনেকটাই বেশি। আর মূলত মধ্যবিত্তদের এত টাকার বিনিময়ে তারাপীঠ হোটেলে ভাড়া করে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর সেই কারণেই গত দুবছর থেকে কৌশিকী আমাবস্যায় পর্যটকদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম দেখা গেছে।
তবে এই বছর সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে তিন দিনের জন্য প্যাকেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কেউ যদি কৌশিক অমাবস্যার দিন এসে সেদিন রাত্রি থেকে পরের দিন সকালে ফিরে যেতে চান তাহলে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী শুভময় চট্টোপাধ্যায় এবং রণজিৎ রায় জানান প্রশাসনের নির্দেশকে সকল হোটেল ব্যাবসায়ীরা মান্যতা দিয়েছেন। যদি কেউ একদিন হোটেলের জন্য বুকিং করছেন তাহলে সেই বুকিং নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা তারাপীঠ এর হোটেলগুলিতে প্রায় ৫০ শতাংশ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। বাকি যেগুলি রয়েছে সেগুলো খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Gold Rate: সোনার দামে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন! জানুন আজকের বাজারমূল্য