Bollywood Gossip: বলিউডের রোমান্টিক হিরো হিসেবে তকমা পেয়েছিলেন তিনি। কয়েকশত সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শককে। এখনো তার চার্ম মুগ্ধ করে মহিলা দর্শকদের। একসময় বলিউডের হ্যান্ডসাম হাঙ্ক ছিলেন তিনি। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন বলেছেন ধর্মেন্দ্র না থাকলে অমিতাভকে কেউ চিনতেন না। সেই ধর্মেন্দ্র বিয়ে করলেন ড্রীম কুইনকে। প্রথম স্ত্রী এবং সন্তান থাকা সত্ত্বেও হেমা মালিনীর প্রেমে মশগুল হয়ে তাকে মন দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। শুটিং সেট থেকেই শুরু হয়েছিল তাদের প্রেম আর তারপর পরিণতি পায় ভালোবাসা।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে এক প্রকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল হেমার সেখান থেকে তাকে তুলে এনে নায়কের মতন বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের পরে হেমা এবং ধর্মেন্দ্রর দুই কন্যার জন্ম হয়। ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের বড় মেয়ে এশা দেওল। বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এশা। বাবা হিসেবে ধর্মেন্দ্রকে মোটেই দশে দশ দেন না এশা। ছোট থেকে বড় হতেই যখন রঙিন দুনিয়া দেখে অভ্যস্ত এশা ঠিক সেই সময় বাবা তাকে দেন এক কঠিন শর্ত। ধর্মেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অভিনয়ে আসা যাবেনা কোনভাবেই।
আমাদের বাড়িতে সব মেয়েদের ১৮ বছরে বিয়ে হয়েছে তাই তোমাকেও ১৮ বছরে বিয়ে করতে হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসে এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন এশা। তিনি বলেন বাবা ভীষণ প্রাচীনপন্থী তিনি চাইতেন না মেয়ে হয়ে আমি অভিনয়ে আসি। বাবা একজন পাঞ্জাবি তাই তিনি চেয়েছিলেন অন্যান্য পাঞ্জাবি ঘরানার মেয়ে হিসেবে এশাকে তাই ১৮ বছরে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন মা আর সেই কারণেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল এশার।
বাবার কথা এক প্রকার না মেনে মায়ের পথে হেঁটে ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় ঠাকুমাও মোটেই সহ্য করতে পারতেন না এশাকে। বাড়িতে শর্ট পড়তে দেয়া হতো না কোনদিন । দেরি করে বাড়ি ফিরলে চলবে না। অবশ্য মিথ্যে বলে মাঝেমধ্যেই প্রেমিকের সঙ্গে লেট নাইট করতেন বলে জানান এশা। পরিবারকে বুঝিয়ে অবশেষে ২০০২ সালে সিনেমায় দেবিউ করেন নায়িকা। তবে ক্যারিয়ারে মোটেই ভালো ছাপ ফেলতে পারেননি। পরবর্তীতে দীর্ঘদিনের প্রেমিক হিরে ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। কয়েক মাস আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে তার। মেয়েকে নিয়ে এখন মায়ের কাছেই থাকেন এশা।
আরও পড়ুন: Ration Card: রেশন তালিকা থেকে নাম বাতিল পড়বে অনেকের! কড়া পদক্ষেপ সরকারের! জানুন বিস্তারিত