টেট দুর্নীতির (TET Scam) জেরে ফের অনিশ্চয়তায় পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫-এ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে উঠছে এই বহুল চর্চিত মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রাথমিক স্তরের প্রায় ৩২,০০০ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ ও “বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের” বক্তব্য শুনানির মধ্যেই এখন নজরে রয়েছে, আদৌ এই চাকরি বাতিল হবে কি না।
কী মামলার প্রেক্ষাপট?
এই মামলার সূচনা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (Primary TET 2014) পরীক্ষা ও তার ভিত্তিতে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে। রাজ্য সরকার ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ শুরু করে এবং মোট ৪২,৯৪৯ জন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়। তবে, অভিযোগ ওঠে যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে — স্ক্যান করা ওএমআর শিট, মার্কশিট, মেধা তালিকা সবকিছুতেই নাকি ছিল স্বজনপোষণ ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ। আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়, এবং তখনকার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ প্রাথমিক স্তরের ৩২,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।
অবশ্যই দেখবেন: দুর্গাপুজোর আগে বড় সুখবর! ৪% পর্যন্ত বাড়তে পারে DA, খুশির হাওয়া সরকারি কর্মীদের মধ্যে
বর্তমান অবস্থা: ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি
একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার ও চাকরিপ্রাপ্তরা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। সেই মামলাই বর্তমানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে চলছে।
আজকের গুরুত্ব:
- ১৩ জুলাই শুনানি।
- ১১ নম্বর এজলাসে দুপুর ২টোর সময় উঠতে পারে মামলাটি।
- প্রথমবারের মতো বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের সামনে সরাসরি বক্তব্য রাখতে চলেছেন।
- সম্ভবত তাঁরা দাবি তুলতে পারেন—
- পুরো প্রাথমিক প্যানেল বাতিলের,
- অথবা অবৈধ চাকরি বাতিল করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার।
বিচারপতির কড়া বার্তা
গত শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী মন্তব্য করেন:
“দুর্নীতি ধরা পড়লে, চাকরি বিক্রিতে প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা জড়িত, তা জেনেও কি একজন বিচারপতি চুপ করে থাকবেন?”
তিনি স্পষ্ট করেন যে, কে চাকরি পেল, কে পেল না, তা দেখার বিষয় নয়। বরং দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে, আদালতকে ন্যায্য পদক্ষেপ নিতেই হবে।
এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায়, আদালত দুর্নীতির কোনও রকম আপস করতে নারাজ এবং আইনি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচারই হবে মুখ্য।
SSC মামলার আবহে আরও চাপে রাজ্য
একদিকে SSC দুর্নীতি মামলায় ২৬,০০০ চাকরির বিষয়ে জট এখনো কাটেনি। সেই আবহেই TET দুর্নীতি মামলার শুনানি আরও চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের উপর।
এর প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে:
- শিক্ষক সংকট আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
- নতুন নিয়োগ স্থগিত হতে পারে।
- লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার মান পড়ে যেতে পারে।
আগামী সম্ভাব্য রায় কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচারপতির মন্তব্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কয়েকটি রায় হতে পারে:
- পুরো প্যানেল বাতিল করা — তাতে ৩২,০০০ চাকরি হারাতে পারেন প্রার্থীরা।
- নতুন তদন্তের নির্দেশ — CBI বা অন্য নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে পুনর্বিচার।
- চিহ্নিত দুর্নীতিপ্রাপ্তদের চাকরি বাতিল করে নতুন মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ।
তবে, এখনও সবটাই বিচারাধীন। আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
TET Scamমামলাটি এখন শুধু একটি নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, এটি বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে দাঁড়িয়ে গেছে। ১৪ জুলাইয়ের শুনানি রাজ্যের শিক্ষা-প্রশাসনের ভবিষ্যতের রূপরেখা ঠিক করে দিতে পারে। চাকরি বাঁচবে না কি বাতিল হবে—সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার প্রার্থী ও অভিভাবকরা।
অবশ্যই দেখবেন: সূর্যদেবের কৃপায় আজ ভাগ্য খুলবে এই ৪ রাশির! আজকের রাশিফল, ১৩ জুলাই
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |