Lakhsmi Bhandar এর টাকায় বসলো সিসিটিভি, রাতের ভয়ে এবার কাঁপছে না সোনারপুর!

রাত নামলেই যেন পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এক অদৃশ্য ভয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য! অচেনা মানুষের আনাগোনা, রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাওয়া, আর সেই সঙ্গে অন্ধকার গলি—সব মিলিয়ে সন্ধ্যা নামলেই যেন পাড়া থেকে নিশ্চিন্ত ঘুম উধাও হয়ে যায়। অনেক সময় নিজের বাড়ির সামনেও দাঁড়াতে ভয় পেতেন মহিলারা। একটার পর একটা ঘটনার পর ...

Published on:

Lakhsmi Bhandar এর টাকায় বসলো সিসিটিভি, রাতের ভয়ে এবার কাঁপছে না সোনারপুর!

রাত নামলেই যেন পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এক অদৃশ্য ভয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য! অচেনা মানুষের আনাগোনা, রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাওয়া, আর সেই সঙ্গে অন্ধকার গলি—সব মিলিয়ে সন্ধ্যা নামলেই যেন পাড়া থেকে নিশ্চিন্ত ঘুম উধাও হয়ে যায়। অনেক সময় নিজের বাড়ির সামনেও দাঁড়াতে ভয় পেতেন মহিলারা। একটার পর একটা ঘটনার পর কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি, কেউ আবার নীরবে সহ্য করে গেছেন আতঙ্কের রাত।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Read More: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চাকায় মৃত্যু কর্মীর! FIR-এ জগন মোহন রেড্ডির নাম ঘিরে তোলপাড় অন্ধ্রপ্রদেশ!

শুধু অভিযোগ নয়, এবার নিজেদের মতো করেই ব্যবস্থা (Local Women Initiative CCTV installed with Lakhsmi Bhandar’s money)

এইরকম পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছিলেন সোনারপুরের (Sonarpur) রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লির (Sukantapalli) মহিলারা। কিন্তু এবার চুপ করে থাকা নয়, ঠিক করে নিলেন পাড়ার মেয়েরা—নিরাপত্তা চাই নিজেদের জন্য, নিজেদের উদ্যোগেই। পুলিশি আশ্বাসে আর ভরসা নয়। কোনও সরকারি ফান্ডিং ছাড়াই, নিজেদের উপার্জন আর সঞ্চিত অর্থেই তারা এগিয়ে এলেন সিসিটিভি (CCTV Surveillance) বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে। তবে এই উদ্যোগের শুরু কোথা থেকে?

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে সঞ্চয়, সুরক্ষার দিশা মহিলাদের (Women Empowerment Through Govt Scheme)

জানা গিয়েছে, সুকান্তপল্লির অন্তত ১২ জন মহিলা নিজেদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar Scheme) টাকা, কেউ আবার চাকরি ও টিউশনের উপার্জন থেকে অর্থ জোগাড় করে শুরু করেন এই সিসিটিভি প্রকল্প। কয়েকজন আবার বার্ধক্যভাতা (Old Age Pension) দিয়েও অবদান রেখেছেন। প্রায় ১ লক্ষ টাকার বাজেটে গোটা এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে মোট ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে এখানেই শেষ নয়—এই ক্যামেরাগুলির ফিড দেখা হচ্ছে পাড়ারই এক বাড়িতে বসানো কন্ট্রোল রুম (CCTV Control Room) থেকে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

Read More: New Auto Bus Route: আর ঠেলতে হবে না বাস, ট্রামের ভিড়; কলকাতায় নতুন অটো ও বাস রুটের সূচনা সরকারের

নজরদারির আওতায় গলি থেকে মোড়—তৎপর ‘নারী ব্রিগেড’ (Real Time Monitoring by Women Group)

এই উদ্যোগের বিশেষত্ব হলো প্রতিটি ক্যামেরার লাইভ লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে নারী সংগঠনের সদস্যদের ফোনে। কেউ না কেউ সবসময় নজর রাখছেন ক্যামেরা ফুটেজে (Live Footage Surveillance)। এমনকি রাস্তার মুখে টাঙানো হয়েছে সতর্কবার্তা লেখা ফ্লেক্স—‘আপনি সিসিটিভি নজরদারির আওতায় রয়েছেন’। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, এই পদক্ষেপের পর অনেকটাই কমে গেছে রাতের অশান্তি, অচেনা মুখের আনাগোনাও অনেকটা কমেছে।

স্থানীয় কাউন্সিলরও প্রশংসায়, তৃপ্ত মহিলারা (Councillor’s Reaction and Community Support)

এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপ নস্কর জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্য রাস্তায় সিসিটিভি থাকলেও অলিগলিতে নজর রাখা বেশ কঠিন। সেই কাজটাই করে দেখালেন পাড়ার মহিলারা।’’ এলাকাবাসী ঝর্না চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার বার্ধক্য ভাতার টাকা দিয়ে এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে গর্ব হচ্ছে।’’ অন্যদিকে অনন্যা নন্দী, জয়তী সাহারা জানিয়েছেন, ‘‘চুরি, অসভ্যতা আর ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার পর বহুবার থানায় গিয়েও ফল পাইনি। এবার নিজেরাই দায়িত্ব নিলাম।” বলাই যায়, এবার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় লক্ষ্মীদের রক্ষাকবচ’—এই ভাবনা হয়ে উঠছে বাংলার এক উদাহরণযোগ্য পদক্ষেপ।

Read More: মিস্টার ইন্ডিয়া’ নয়, এই জনপ্রিয় ছবিগুলোতেও ছিল আফতাবের ছোটবেলার ম্যাজিক!