Vishwakarma Puja 2024: দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ। বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক। ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ। শুধু কলকারাখানা, শিল্পক্ষেত্র নয়, অনেক বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। এই বিশেষ দিন পুজোর পর রকমারি খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো রীতি রয়েছে। এছাড়াও এই পুজোর আগের দিন পশ্চিমবাংলার আদি বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন। এটিও বাঙালিদের একটি জনপ্রিয় পার্বণ।
মাঘ শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিশ্বকর্মাকে মহাবিশ্বের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পুজো করা হয়। তাঁকে দেবতাদের শিল্পকার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। মহাদেবের ত্রিশূল, সুদর্শন চক্র এবং অন্যান্য দেব-দেবীর অস্ত্র থেকে শুরু করে সোনার লঙ্কা, দ্বারকার ভগবান কৃষ্ণের প্রাসাদ, ইন্দ্রদেবের স্বর্গ সবই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সাধারণ মানুষ তাদের বাড়িতে, অফিস, কারখানার যন্ত্রপাতি এবং খুচরা যন্ত্রাংশের পুজো করে। মাঘ মাসের ত্রয়োদশীতে পালিত হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী।
ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে ‘কন্যা সংক্রান্তি’ বলা হয়। পুরাণ মতে এই তিথিতেই বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। কিন্তু শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
হিন্দু ক্যালেন্ডর অনুযায়ী ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে শুরু হবে এবং শেষ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ০৪ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণিমা তিথি পালিত হবে। আবার উদয়া তিথি অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর স্নান-দান করা হবে। বেলা এগারোটার পর শ্রাদ্ধকর্ম করা হয়। তাই ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণিমা তিথির শ্রাদ্ধ করা যাবে।
তাই ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে, শেষ হবে ২ অক্টোবর। পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাবে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে পিতৃ তর্পণ ও শ্রাদ্ধ কর্ম করা অত্যন্ত আবশ্যক। শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাবে করা হয় বলে এটি শ্রাদ্ধ নামে পরিচিত। অপরাহ্নকাল ব্যাপিনী তিথিতে শ্রাদ্ধ কর্ম করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বাঙালির এই বিশ্বকর্মা পুজোর মাধ্যমেই শুরুহয় বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গোৎসব।