Day on Earth: বিচিত্র এ বিশ্বভূমি। নানান সময় ঘটে একাধিক মহাজাগতিক ঘটনা। কোন ঘটনার পূর্বাভাস ভয় ধরিয়ে দেয় পৃথিবীবাসীর মনে, আবার কোন ঘটনা কৌতুহল সৃষ্টি করে। এবার নতুন এক গবেষণায় মিলিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই গবেষণা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে জার্নালের আশ্রয় নিয়েছেন তারা। ৯ কোটি বছরের পুরনো ভূতাত্ত্বিক গঠন নিয়ে গবেষণা করে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিদিন চলছে সেই গবেষণা। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে এক নয়া তথ্য।
পৃথিবী থেকে চাঁদের ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার বিরাট প্রভাব পড়বে পৃথিবীর উপর।এর ফলে দিন এবং রাত্রির সময়ের ব্যাপক তারতম্য ঘটবে। বেড়ে যেতে পারে দিনের দৈর্ঘ্য। ২৪ ঘন্টার বদলে দিনের দৈর্ঘ্য হবে ২৫ ঘন্টা। একটু একটু করে পৃথিবী থেকে দূরে চলে যাচ্ছে চাঁদ। সম্প্রতি ঘটা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিবছর পৃথিবী থেকে প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে তার একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। বছরের হিসেবে এই দৈর্ঘ্যটা কিন্তু কম নয়। যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে দ্বীনের দৈর্ঘ্য পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি কমে যাবে। ২৪ ঘন্টায় নয় ২৫ ঘন্টায় হবে দিন। তবে কি এবার ইতিহাস ভূগোল সবকিছুই বদলে যাবে। না তেমনটা বলছেন না বিজ্ঞানীরা।
২৫ ঘন্টার দিন:
বরং ২৪ ঘণ্টার বদলে ২৫ ঘন্টা দিন হতে এখনো সময় লাগবে কুড়ি কোটি বছর। সময়ের ঘড়িতে এটা অনেক দীর্ঘ হলেও মহাজাগতিক ঘড়িতে সময়টা নেহাত বেশি নয়। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এর আগে কখনো এমনটা হয়েছিল কিনা। পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম থেকেই কি ২৪ ঘন্টা ছিল দিনের পরিধি! বিজ্ঞানীরা বলছেন বহু বহু আগে আদিমকালে তখনও মানুষের সৃষ্টি হয়নি!
পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য অধুনা সময়ের থেকে অনেকটাই কম ছিল! আজ থেকে ১৪০ কোটি বছর আগে দিন শেষ হতো মাত্র ১৮ ঘন্টাতে। কিন্তু মানুষ যদি নাই থাকে তবে কিভাবে ১৪০ কোটি বছর আগে দিনের দৈর্ঘ্য হিসাব করা হয়।এর জন্য সাহায্য নেওয়া হয়েছে অ্যাস্ট্র ক্রোনোলজির। অ্যাস্ট্রো অর্থাৎ জ্যোতির্বিজ্ঞান।
অ্যাস্ট্রোক্রনোলজি:
তার সঙ্গে সংযোগ ঘটানো হয়েছে সময় বিভাজিকার। যাকে এক কথায় বলা যেতে পারে টাইম ট্রাভেল। এই পদ্ধতিতে অতি প্রাচীন সময়ে ভূতাত্বিক বিভিন্ন ঘটনার ঘনঘটার সময় মাপা যায়। এটি আসলে অত্যাধুনিক একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়ার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সময়ের গতিপ্রকৃতি মাপা সম্ভব।
কয়েকশো কোটি বছরের পুরনো শিলা নিয়ে গবেষণা এবং অধ্যয়ন করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক গঠন তার পলির বিভিন্ন স্তর এবং পরিকাঠামো পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হারে পৃথিবী থেকে দূরে সরে গিয়েছে চাঁদ।
আরও পড়ুন: Today’s Gold Rate: মাসের শুরুতেই সোনার দামে আমূল পরিবর্তন! জানুন আজকের কলকাতার বাজারমূল্য