Depression In Bay of Bengal: অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বিশেষ করে ৫ অক্টোবরের পর এই নিম্নচাপের গতি প্রকৃতি স্পষ্ট হবে, যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর মাস জুড়ে বঙ্গোপসাগরে তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ফলে পুজোর সময় বৃষ্টির কারণে উৎসবের আমেজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এই পূর্বাভাসে পুজোর প্রস্তুতিতে নানান দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাসব্যাপী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবরের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। এ সময়ে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩-৫ দিনের জন্য হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও, তা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকতে পারে। পুজোর সময় এই বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতি দুর্ভোগ বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর আগ পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমবে। বিশেষ করে ৫ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি চলতে পারে। এ সময় পুজোর প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে। যদিও সপ্তমীর পর বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবিত হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এই সময়ের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি চলতে থাকবে। তাই পুজোর আনন্দে বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর দিনগুলির নির্দিষ্ট পূর্বাভাস ৩ অক্টোবরের পরে দেওয়া হবে। আবহাওয়া অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাসের মতে, ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পুজোর সময়ের আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই উৎসবের প্রস্তুতি ও আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।