BSNL: কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ বিএসএনএল টেলিকম সংস্থা এবার সারা দেশজুড়ে ৪জি পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে। এছাড়া শুধু ৪জিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না বিএসএনএল (BSNL SIM Card)। সম্প্রতি দেশের অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি যেমন জিও, এয়ারটেল তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর তারপরেই সস্তার প্ল্যান খুঁজতে মানুষের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে বিএসএনএলের। এই অবস্থায় বহু মানুষকেই বিএসএনএলের সিম নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দিচ্ছেন। আর চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে BSNL সিম কার্ড বিক্রি শুরু করলে কম সময়ের মধ্যেই ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। প্রতিদিন ১০০০ টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন অর্থাৎ মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
যদি যেকোনো দোকান থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দোকান চালানোর সাথে সাথে BSNL সিম কার্ড বিক্রি করা খুব সহজ আর যদি মোবাইলের দোকান থাকে তাহলে তো কাস্টমারের অভাব হবে না। এরপর আপনার যদি দোকান না থাকে তাহলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বা বাজারে ও হাটে গিয়ে অর্থাৎ জনবহুল স্থানে BSNL এর ছাতা টাঙিয়ে বললেও খদ্দেরের কোন অভাব দেখা যাবে না।BSNL সিম কার্ড সাধারণত ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে একদিনই 10 থেকে 15d টা সিম বিক্রি করতে পারলে তাহলে খুব সহজেই ১০০০ টাকার বেশি ইনকাম সম্ভব। অর্থাৎ মোটামুটি প্রতি মাসে সহজে 30 হাজার টাকা।
BSNL ডিস্ট্রিবিউটার হওয়ার জন্য নিকটবর্তী বিএসএনএল অফিসে গিয়ে একটি আবেদন জানাতে হবে এর জন্য অবশ্যই 18 বছর হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেকটি জেলাতে এক বা একাধিক BSNL অফিস রয়েছে। BSNL সিম কার্ডের ডিস্ট্রিবিউটর আইডি নেওয়ার জন্য কিছু তথ্য সঙ্গে নিয়ে নিকটবর্তী BSNL এর অফিস গেলেই হয়ে গেলো, যেমন-আধার কার্ড,একটি BSNL সিম কার্ড,পাসপোর্ট সাইজ ছবি,ভোটার কার্ড, আইডি প্রুফ এবং রেসিডেন্ট প্রুফ।
যদিও অন্যান্য টেলিকম অপারেটর সংস্থার মত বিএসএনএলও ঘরে ঘরে সিমকার্ড ডেলিভারি দেওয়া শুরু করেছে। এর জন্য বিএসএনএল পার্টনারশিপ করেছে ‘প্রুন’ নামের একটি সংস্থার সঙ্গে। এই অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে অথবা এই সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে সব তথ্য দিয়ে আপনি ঘরে বসেই বিএসএনএলের সিম পেতে পারেন। সংস্থার দাবি যে এখানে সিম বুক করলে আপনি তা মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন।