বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ।এরপর আসে লক্ষ্মী পুজো। প্রায় সব বাঙালি মা লক্ষ্মীর আরাধনা করে থাকেন। সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি দেবী লক্ষী। তাকে ধরে বেঁধে রাখতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন বঙ্গবাসী। দীপাবলীর বিকেলে দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজার প্রচলন থাকলেও সব ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। কোথাও ঘটে , কোথাও পটে বা কোথাও মা লক্ষ্মীর মূর্তি এনেও পুজো করা হয়।

তবে লক্ষ্মী পুজো যে ভাবেই করা হোক না কেন কিছু কিছু নিয়ম আছে যেগুলো করা উচিৎ নয়। যেমন- লক্ষ্মী পুজোতে লাল , হলুদ, গোলাপী রঙের ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে। লক্ষ্মী দেবীকে কোনো ভাবেই সাদা ফুল দিয়ে পুজো করা যাবে না। কথিত আছে যে তুলসীর সাথে শালগ্রাম শীলার বিবাহ হয়। এই শালগ্রাম বিষ্ণুর প্রতিভূ। আর লক্ষ্মী যেহেতু বিষ্ণু পত্নী, তাই এই পুজোয় তুলসীর ব্যাবহার চলে না।
- লক্ষ্মী পুজোয় তোলা চাল থেকে অন্য কাউকে চাল দিতে নেই।
- সাদা ফুল যেমন পুজয় ব্যাবহার করা যাবেনা, তেমনই আসনে সাদা বা কালো কাপড় দেওয়া যায় না। লাল বা গোলাপী রঙের কাপড় ব্যবহার করলে মা লক্ষ্মী তাতে সন্তুষ্ট হন।
- লক্ষ্মী পুজো করার সময় কোনো ভাবেই কালো পোশাক পরা যাবে না।
- ঢাক ঢোল, কাসর ঘণ্টা বাজানো যাবে না। মা লক্ষ্মীর অতিরিক্ত আওয়াজ পছন্দ না। তাই অন্য পুজোতে বাজানো হলেও লক্ষ্মী পুজোতে বাজানো যাবে না।
- পুজোর পড়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকে প্রসাদ অর্পণ করার কথা বলে থাকেন অনেকে। এই প্রসাদে না বলতে নেই। একটু হলেও প্রসাদ গালে নিতে হয়।
- মনে করা হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বাড়িতে করলে বাড়িতে লক্ষ্মী স্থির থাকে। ধনসম্পদ বৃদ্ধি হয়। গৃহে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
আরও পড়ুন:Laxmi Puja 2023: কোজাগরী শব্দের মানে জানেন? জানুন এই লক্ষ্মী পুজোর ইতিহাস