Kaushiki Amavasya Special Train: মনে করা হয় এই বিশেষ দিনেই স্বর্গ এবং নরকের দরজা খুলে যায়। এই অমাবস্যা তিথিতেই জন্ম হয় দেবী কালীর। আর তাইতো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভাদ্র অমাবস্যা। এই ভাদ্র অমাবসাকেই বলা হয় কৌশিকী অমাবস্যা। এই দিন বিভিন্ন শক্তি পিঠে ভক্তদের তুমুল ভিড় নজরে পড়ে। এই শক্তি পিঠের মধ্যে বাংলায় অন্যতম একটি পিঠ তারাপীঠ। রবিবার রাতেই লেগে যাচ্ছে অমাবস্যা। রবি এবং সোমবার দুই দিন ধরে হবে দেবীর পূজা অর্চনা।
কৌশিকী অমাবস্যায় দেবী কৌশিকীর পুজোয় ব্যাপক ভিড় হতে পারে। আর তাই তারাপীঠে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রতিবছর কৌশিকি অমাবস্যা তিথিতে বিভিন্ন রাজ্য এবং দেশ থেকে অসংখ্য তারা ভক্তরা ছুটে আসেন। সারারাত ধরে হয় পুজো। এছাড়া আসেন সাধু সন্ন্যাসীরা। পূর্ণ অর্জনের জন্য ছুটে আসেন তারা। এই অমাবস্যায় তারাপীঠে আসতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় যাত্রীদের তার জন্য পূর্ব রেল নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
দূর দূরান্ত থেকে আশা ভক্তদের জন্য অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেল। অন্যান্য বছরের মতন এই দিনেই পূর্ব রেলের তরফে একগুচ্ছ স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। তবে ওই একদিন নয়, কৌশিকী অমাবস্যার দুই দিন আগে থেকেই চালানো হবে এই ট্রেনগুলি।
স্পেশাল ট্রেন:
যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম সুলভ মাধ্যম ট্রেন। ট্রেন লাইনের মধ্য দিয়ে দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে পারবেন শক্তি পিঠে।রামপুরহাট বীরভূম কিংবা শান্তিনিকেতন লাইনে রয়েছে একাধিক স্পেশাল ট্রেন। এতদিন এই ট্রেন গুলিতে রীতিমতো বাদুর ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হতো। তবে এবার থেকে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। প্রতিবছর হাওড়া থেকে স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয় তারাপীঠ আসার জন্য। এবার স্পেশাল ট্রেন গুলি চলবে ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ তিন দিন । হাওড়া থেকে রামপুরহাট এবং রামপুরহাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন। কোন সময় চলবে ট্রেনগুলি।
সময়:
ভোর ৫:৪৫ মিনিটে ছাড়বে ট্রেন যা রামপুরহাটে এসে পৌঁছাবে ৯:৪৫ মিনিটে! অন্যদিকে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন রামপুরহাট থেকে হাওড়ার দিকে ছাড়বে ১১:৩২ মিনিটে! তা পৌঁছাবে ৩:৫৫ মিনিটে! রামপুরহাট হাওড়ার মধ্যবর্তী স্থানে শেওড়াফুলি ব্যান্ডেল বর্ধমান বোলপুর সাঁইথিয়া প্রভৃতি স্টেশনে দেওয়া হবে স্টপেজ! তবে এই স্পেশাল ট্রেনে নেই কোন রিজার্ভেশন ব্যবস্থা। সাধারণ দ্বিতীয় এবং প্রথম শ্রেণীর কোচে যাতায়াত করতে হবে।