Electricity Rate: মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অন্যতম হলো বিদুৎ। আজকের যুগে বিদুৎ ছাড়া মানুষ অচল। বিদ্যুৎ ছাড়া যেমন কোনো কিছু চালানো যাবে না তেমনই চারিদিক ঢেকে যাবে অন্ধকারে। আবার অনেক মানুষ রান্নার কাজেও বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তাই বিদুৎ ছাড়া মানুষ যে অচল হয়ে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। তবে এইবার বিদ্যুৎ বণ্টন নিয়ে এক নতুন নিয়ম আনতে চলেছে সরকার। আর এই নিয়মের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিরোধিতা। অনেকের দাবি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্যই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে সরকারের তরফে।
সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষদ বিদ্যুতের প্রাপ্যতা, সরবরাহ এবং পরিকল্পনা কাঠামো সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইনের চরম বিরোধিতা শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে দাবি করা হয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কৌশল হিসেবে এটিকে প্রণয়ন করতে চলেছে সরকার। এরপর থেকেই এর বিরোধিতা শুরু হয়েছে। আপাতত এই আইন বাস্তবায়নের জন্য দুই বছর সময় চেয়েছে পাওয়ার করপোরেশন।
এই বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবধেশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন প্রস্তাবিত আইনে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রাইভেট হাউসকে দামি বিদ্যুৎ বিক্রির অধিকার দিতে চায়। সেই কারণে সর্বস্তরে বিরোধিতা করবে উপভোক্তা পরিষদ, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। অবধেশ বাবু আরো জানিয়েছেন যে এই প্রথমবার কনজিউমার কাউন্সিল, পাওয়ার কর্পোরেশন এবং ইউপিএসএলডিসি একত্রে প্রস্তাবিত আইনের বিরোধিতা করেছে।
প্রস্তাবিত আইনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদের দাবি কী?
বর্তমানে, দেশে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় মোট ৪.৪১ লক্ষ মেগাওয়াট।যেখানে দেশে ২.২৭ লক্ষ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে সুবিধা দিতে এই আইন আনতে চাইছে সরকার। আর সেই কারণেই পরিষদের দাবি, এই আইনের আওতায় উপভোক্তাদের অন্তত এক বছর পূর্বে বিদ্যুতের চাহিদা মূল্যায়ন করতে হবে এবং কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করতে হবে। কোনো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা না বাড়লেও চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: পূজোর আগেই বাড়িয়ে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা! জানুন বিস্তারিত