Engineering Pass: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই শুরু হয়ে যায় ভবিষ্যতের চিন্তা। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে কলেজ মুখী পড়াশুনা করতেই দূরদূরান্তে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ পড়াশোনার থেকে চাকরি মুখি বিভিন্ন কোর্সে মনোননিবেশ করেছে ছাত্রছাত্রীরা। এর অন্যতম কারণ অবশ্যই কাজের স্বল্পতা। হাতে কলমে কাজ শিখলে কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে অনেকটাই সুবিধা হয়।। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে চাকরির সংকট, তাই এই মুহূর্তে সকলেই চাইছেন স্বনির্ভর হতে।
বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের সামনে থাকে নানান সুযোগ। ছোটবেলা থেকে অনেকেই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। কিন্তু এই দুই ক্ষেত্রেই প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। বিশেষ করে মেধা থাকলেও অর্থের অভাবে স্বপ্নভঙ্গ হয় অনেকেরই। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ দিচ্ছে এমন এক সংস্থা যেখানে মাত্র ২০৮ টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে। ঠিকই শুনেছেন হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ টাকা নয় মাত্র ২০৮ টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে। শুনতে অবাক লাগলেও এমন সুযোগ দিচ্ছে শহরতলীর এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
কলকাতা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন পুয়াবাগানে রয়েছে উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। সেখানে এই অভাবনীয় মূল্যে করতে পারবেন বিটেক। সম্প্রতি তারা তাদের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইছেন যারা তাদের ভুল ভেঙ্গে দিতে চাই এই কলেজ। তাদের একটাই লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে প্রচুর অর্থ নয় কেবল মেধা থাকায় জরুরী।
ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করতে খরচ পড়বে দু লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা। অনেকেই স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তাদের চার বছরের দিতে হবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে ২০১ টাকা। কলেজের চেয়ারপার্সন জানাচ্ছেন এত কম খরচে ভারতবর্ষে তারাই প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শুরু করেছেন। তবে শুধু খরচ কম দেখলেই হবে না পরিকাঠামো ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশ্বমানের। বিশিষ্ট শিক্ষকদের দ্বারা গঠন-পাঠনের সু বন্দোবস্ত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২০০। তাদের নিজস্ব ড্রেস কোড থেকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার রয়েছে। রয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী।
সাতটি বিষয়ে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ। কম্পিউটার সাইন্স আইটি সিভিল মেকানিক্যাল ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যাপ্লাই ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেন্ট। রয়েছে দুটি এম টেক কোর্স। আবার আইটিআই পড়ার সুবর্ণ সুযোগ। দূর দূরান্তের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অল্প খরচে রয়েছে হোস্টেল সুবিধা। শুধুমাত্র বাঁকুড়া নয় কলকাতা শহর এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকেও বহু ছেলেমেয়েরা আসছেন পড়তে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে এবং স্বল্প মূল্যে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করতে তাদের ইনস্টিটিউশনে আস্থা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কলেজের কর্ণধার।