New 3rd Line Project: ভারতীয় রেল ভারতের লাইফ লাইন।। ইংরেজরা, ভারতবর্ষের সূচনা করেছিল রেললাইনের। প্রথমবার ট্রেন চলেছিল মুম্বাই থেকে থানের মধ্যে। তারপর ধীরে ধীরে গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রেলের এই নেটওয়ার্ক। বর্তমানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে জুড়ে গিয়েছে রেল ব্যবস্থা। শুধু এক রাজ্যই নয় বরং এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমানো যায় রেলের মাধ্যমে। সবচেয়ে কম সময়ে এবং স্বল্প মূল্য ব্যয় করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায়।
দিনদিন প্রযুক্তিগত উন্নতি হচ্ছে ভারতীয় রেলের। এবার তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ শুরু করেছেন রেল। ইতিমধ্যেই এই কাজে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে থার্ড লাইন বসবে যা এতদিন ছিল না। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২১৭০ কোটি টাকা। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই তৃতীয় রেড লাইন (New 3rd Line Project) তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। তবে প্রথমে ১২১ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হবে এই তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ। পরপর দুটি লাইন এক রুটে জোড়া হবে।
এই তৃতীয় লাইন বসানোর ফলেই একদিকে যেমন মানুষের গন্তব্যে পৌঁছানো হবে সহজ অন্যদিকে পন্য পরিবহনে নতুন যুগান্তর আসতে চলেছে। তৃতীয় লাইন চলে আসলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ত্বরান্বিত হবে। আপাতত জামশেদপুর পুরুলিয়া এবং আসানসোলের মধ্য দিয়ে এই তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ চলছে জোড় কদমে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মতন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের উপর দিয়েও বয়ে যাবে এই লাইন।। পুরুলিয়া এবং আসানসোলে দামোদর স্টেশন পর্যন্ত এই লাইন যাবে। এদিকে এই লাইন বসানোর কাজ শুরু হলে অস্থায়ী প্রচুর শ্রমিক পাবেন কাজ। ৪২ লক্ষ্য কর্ম দিবস তৈরি হবে বলে জানিয়েছে রেল।
অর্থাৎ একইসঙ্গে কর্মসংস্থান হবে এই তৃতীয় লাইন বসলে। এর ফলে রাজধানী দিল্লির সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। এরপর দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। দুই মেট্রো সিটি জুড়ে যাবে। তৃতীয় লাইন তৈরি হলে বাংলার পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ পুরুলিয়া বর্ধমান প্রভৃতি জেলার মানুষেরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। শিল্পাঞ্চল গুলিতে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে কাঁচামাল। ভবিষ্যতে রেল ব্যবস্থা আরো সুগম হবে তৃতীয় লাইনের বদান্যতায়।