Government Scheme: সাধারণ-খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য প্রায়ই কিছু না কিছু প্রকল্পের কথা সামনে আনা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো মাসিক ভাতাও তুলে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে। এরকম মাসিক ভাতা দেওয়া প্রকল্প গুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এখন লক্ষী ভাণ্ডার। রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলারা বর্তমানে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অর্থসাহায্যের পরিমাণ ১২০০ টাকা।
ভারত আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। নদীমাতৃক বিভিন্ন সভ্যতার কথা জানা যায় প্রাচীন ইতিহাসে। আমাদের এই আধুনিক সভ্যতার ভিত্তিও নদী ও তার তীরবর্তী উর্বর জমির কৃষি। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও এর অন্যথা হয়না। রাজ্যের প্রায় ৮০% মানুষ কৃষিনির্ভর জীবিকার সাথে যুক্ত। আমাদের সভ্যতার হাল যাঁরা ধরে রেখেছেন অনেক সময় শোনা যায় তাঁরাই জীবনের বিভিন্ন সময়ে জীবনধারণের জন্য দুমুঠো খাবার জোগাতে হিমশিম খান।
আর এবার এই সব কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন এক নতুন প্রকল্পের। নাম কৃষক ভাতা। এই প্রকল্পে সমস্ত কৃষকরা প্রতিমাসে ১০০০ টাকার একটি করে অর্থ সাহায্য পাবেন। তবে এই অর্থসাহায্য পেতে হলে কৃষকদের জন্য থাকছে কয়েকটি সাধারণ শর্ত। সেগুলো হলো:
১. পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা নূন্যতম ১০ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বাস করছে এমন কৃষকরাই এই সুবিধা পাবেন।
২. কৃষকের বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে। যদিও তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় দেওয়া হবে।
আবেদনে আগ্রহী কৃষকের সর্বাধিক ১ একর জমি থাকতে পারে। ভূমিহীন কৃষকরাও উপযুক্ত প্রমাণের সাথে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। তবে যদি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনো প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে সেইসব ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য পাবেননা।
আবেদনের পদ্ধতিটি মূলত অফলাইনে ঘটানো হবে। কেউ চাইলে অনলাইনে কৃষক ভাতার ফর্ম ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে কাছের ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস অথবা মহকুমা অফিসে গিয়ে জমা করে আসতে হবে।