Farmers: কৃষকরা সমাজের মেরুদন্ড। মানুষের মুখে ভাত যোগান তারাই। যদিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়ে থাকেন তারা। সেই কৃষকদের স্বার্থে এবার নতুন পথে হাঁটছে বিহার সরকার। লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষিত হতেই কৃষকদের জন্য বাম্পার ঘোষণা করল সরকার। ১০ লক্ষ টাকা অব্দি পেতে পারেন কৃষকরা। কেন কৃষকদের জন্য এই আশীর্বাদ নিয়ে আসলো বিহার সরকার।
তবে এই টাকা পেতে গেলে ৩১শে আগস্ট তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে। বিহার সরকার রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ বিকাশ যোজনার আওতায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণ এবং ক্রয় করতে এই যোজনা চালু করেছে। এমনকি গুদাম নির্মাণ প্রকল্প চালু হয়েছে। যারা আওতায় ফসল সংরক্ষণের জন্য ১০০ এবং ২০০ মেট্রিক টন গুদাম তৈরি করতে পারেন কৃষকরা। গুদাম তৈরি করার জন্য সরকার করবে অর্থ সাহায্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারেন সরকারের কাছ থেকে।
কি বলছে কৃষি বিভাগ:
এই ব্যাপারে বিহারের জেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে এখনো পর্যন্ত তিনটি গোডাউন নির্মাণের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ১০০ মেট্রিক টনের দুইটি গুদাম এবং ২০০ মেট্রিক টনের একটি ওয়ার হাউজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাতে প্রথমটিতে ১৪ লক্ষ এবং দ্বিতীয় দুটিতে কুড়ি লক্ষ টাকা করে ব্যয় করা হতে পারে। এর জন্য সরকার মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ করবে। সাধারণ বিভাগে ৮ লক্ষ এবং তপশিলি জাতি ও অন্যান্য শ্রেণীভুক্ত বিভাগের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। কৃষকরা গুদাম তৈরিতে যাতে কোনরকম বিপদে না পড়েন তার জন্যই এই সহায়তা।
কত টাকা পাবেন:
এর প্রভাবে সাধারণ শ্রেণী কৃষকরা ৫.৫ লক্ষ টাকা এবং এস সি এস টি ও অন্যান্য শ্রেণী ভুক্ত কৃষকরা ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। তবে বাকি টাকা কৃষকদের নিজের ঘর থেকেই দিতে হবে। এই টাকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন ইচ্ছুকরা।আবার কৃষক বাছাই প্রক্রিয়া চলবে? লটারির মাধ্যমে। সঠিক আবেদনকারীরাই সুযোগ পাবেন।
শর্তাবলী:
- গুদামের জন্য কৃষকদের কৃষি বিভাগের ডিভিডি পোর্টালে আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
- রেজিস্ট্রেশন নম্বর নাম ঠিকানা এল পি সি সহ অন্যান্য তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে।
- যে জায়গার গুদাম তৈরি করবেন সেখানে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলতে হবে।
- এরপর লোকেশন আপলোড করে দিলেই ব্যস কাজ শেষ।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা সেই আবেদন যাচাই করবেন। আবেদন নথিভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লটারির মাধ্যমে বিজেতাকে বেছে নেওয়া হবে।