How To Become Crorepati: বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ মানুষ তাই মিউচুয়াল ফান্ড নয় বরং ফিক্সড ডিপোজিট বা বিভিন্ন রেকারিং ডিপোজিটের উপর ভরসা করে থাকেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভজনক হয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট। অনেকেই বুঝতে পারেন না মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ঠিক কোন ফান্ডে লাভজনক হবে। আদৌ সমস্ত টাকা সুরক্ষিত থাকবে তো।
আসলে মিউচুয়াল ফান্ড খুব ভালো রিটার্ন দিয়ে থাকে এখানে পাওয়া যায় মোটা মানের সুদ। তাই অনেকেই এখন ভরসা করছেন মিউচুয়াল ফান্ডের উপর। সঠিকভাবে টাকা রাখতে পারলে, রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায় বলছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। বাজার সবসময়ই উঠানামা করছে। শেয়ার বাজারে রয়েছে একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড। ব্যবসাদার থেকে চাকরিজীবীরা এসব মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করছেন প্রতিদিন।
কেউ একশ টাকা আবার কেউ এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্দা অনুযায়ী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে নইলে পিছিয়ে পড়তে হবে। অর্থাৎ হতাশ হলে চলবে না দীর্ঘমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড অবশ্যই দেবে বিশেষ লাভ। অনেকেই ৫ বছর বা তার বেশি সময়ের বিনিয়োগের কথা ভাবেন। তারা চোখ বুজে ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডের উপর ভরসা রাখতে পারেন। এটি হলো এক প্রকার ওপেন এন্ড ডায়নামিক ইকুইটি স্কিম। তিন রকমের ক্যাপে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে লার্জ, মিড এবং ফ্লেক্সি বা স্মল ক্যাপ।
ইকুইটিতে সবচেয়ে কম বিনিয়োগ থাকে ৬৫ শতাংশ। তবে ফিল্ড ম্যানেজাররা অনেক সময় এই ইকুইটি অদল বদল করতে পারেন। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে এইচডিএফসি ফ্লেক্সি কাপ সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার বাজারে এসেছিল এই ফান্ড। প্রথম থেকেই বিনিয়োগকারীদের মন পছন্দ হয়েছিল এই ফান্ড। এখনো পর্যন্ত ২১.৫৮% হারে রিটার্ন দিয়ে থাকে তারা।
২০২৪ সালের আগস্টর হিসাব বলছে ফান্ড ইউনিট প্রতি ন্যাভ দিচ্ছে টাকা১৮৫৯ .৮৭ টাকা! ১৯৯৫ সালে যারা এই ফ্লেক্সি ক্যাপে ১০০০ টাকার এস আই পি দিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা এখন ২.২০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সবুরে মেওয়া ফলে এই আপ্ত বাক্য একেবারেই সহায়ক হয় স্কিমে বিনিয়োগ করলে। তিন বছরের হিসেবে রিটার্ন পাওয়া যায় ২.৬৪ লক্ষ টাকা! পাঁচ বছরের রিটার্ন মিলে ৪.৭৭ লাখ!