HS Exam: চলতি শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ৩ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ। সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর তার কয়েক মাস আগেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্লোগান লিখলে বাতিল হবে পরীক্ষা ৷ এমন নির্দেশ দিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ । পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নিয়মের কথা জানানো হল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে । শনিবার এই বিষয়ক 25 দফার নির্দেশিকা জারি করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ । জানানো হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে সেমিস্টার পদ্ধতি থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে ৷ এই বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এখানে নতুন কোনও নিয়ম যুক্ত করা হয়নি ৷ 2006 সাল থেকে এই নিয়ম জারি হয়েছে ৷ এই বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হল । তাই আবারও সেই পুরনো নিয়মটাকে একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক ।’’
এ’বছর একাদশ শ্রেণি থেকে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি । এবারেই শেষ হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা । 3 মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে 18 মার্চ । পরের বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও শুরু হবে সেমিস্টার পদ্ধতি । সেই কারণেই পুরনো এই নিয়মগুলোকে আরও একবার স্মরণ করাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ৷
উচ্চমাধ্যমিক সংসদের যে নয়া নির্দেশিকা এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী যদি খাতায় নিজের নাম ভুল লেখেন, রেজিস্ট্রেশন ভুল লেখেন, খাতা নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়েন বা খাতা দেখিয়ে কাউকে উত্তর লিখতে সাহায্য করেন, তাহলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল হবে। শিক্ষা সংসদের তরফে এটিকে রুটিন নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা সংসদের তরফে এটিকে রুটিন নির্দেশিকা বলা হলেও আর জি করের (RG Kar) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) তো বটেই, সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিবাদে সুর চড়ছে। বিশেষত রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও এনিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছে। সেসবের প্রভাব যাতে পরীক্ষায় না পড়ে, সেই এখন থেকেই সেই কড়া নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে।
হঠাৎ কেন এই নির্দেশিকা?
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে পুরো বিষয়টিকে রুটিন নির্দেশিকা বলে জানানো হলেও অনেকের মতে RG কর পরিস্থিতিতে এই নির্দেশিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন বয়সের ছাত্র ও যুবরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। ফলে পরীক্ষায় খাতায় RG কর কাণ্ডের স্লোগানের ছাপ পড়তে পারে। আর সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি বলে মনে করা হচ্ছে।