Independence Day: আর মাত্র কয়েকটা দিন, সামনেই আসছে ১৫ই আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ১৯৪৭ সালে এই দিনটিতেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিল অত্যাচারে ইংরেজদের হাত থেকে। তাই এই দিনটা সকলেই স্মরণীয় করে তোলেন প্রতি বছর। তবে জানলে অবাক হবেন আজও আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৫ই আগস্ট কে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় না। কিন্তু কেনো ঐসব জায়গায় ১৫ই আগস্ট কে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় না? চলুন আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কেই জানবো।
আসলে ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় বাংলার নদীয়া জেলা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অঙ্গ, যা বর্তমানে বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র নবদ্বীপের দিকটা ছিল ভারতের অংশ। ১৪ই অগাস্ট কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে পাকিস্তানের পতাকা তোলে মুসলিম লীগ। যেটা দেখার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর সেই বিক্ষোভের খবর পৌঁছে যায় ব্রিটিশ সরকারের কাছেও।
তারপর তারা ১৭ই অগাস্ট নতুন করে সংশোধন শুরু করেন। যেখানে বলা হয় শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুর থাকবে পূর্ব পাকিস্তানে। আর বাকি কৃষ্ণনগর, শিবনিবাস ও রানাঘাট ভারতেরই মধ্যে থাকবে। তাই ওই সংশোধনের পর থেকে ১৫ই আগস্ট নয় বরং ১৮ই অগাস্ট সেই একই জায়গায় অর্থাৎ কৃষ্ণনগর পাবলিক লাব্রেরির মাথায় ভারতের জাতীয় পতাকার উত্তোলন করা হয়।
ভারতবর্ষে ১৫ই অগাস্ট স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই। তবে মালদা, কৃষ্ণনগর এলাকাগুলি স্বাধীনতা পেয়েছিল ১৮ই অগাস্ট তারিখে। সেই কারণে এই দিনটিকে ‘ভারত ভুক্তি দিবস’ হিসাবে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঐদিন মহিলারা মিলে নানান রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এছাড়াও বালুরঘাটবাসীও ১৮ই অগাস্ট স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
শোনা যায় স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের ঘোষণার পর ১৪ই অগাস্ট পাকিস্তানী সেনা বাকুরঘাট হাই স্কুলের দখল নিয়ে নেয়। তারপর ১৭ই অগাস্ট বালুরঘাট সহ মোট ৫ থানা ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর ১৮ই অগাস্ট প্রশাসনিক ভাবে ঘোষণার পর সরোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন।