Post Office Scheme: বিভিন্ন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের জন্য পোস্ট অফিস (Post Office) বেশ সুরক্ষিত। অনেকেই ব্যাংকের তুলনায় পোস্ট অফিসের উপর ভরসা করছেন এখন। পোস্ট অফিসে রয়েছে বিভিন্ন বয়সের মেয়াদে নানান আকর্ষণীয় প্রকল্প। যেখানে টাকা রাখলে রাতারাতি লাখপতি হয়ে যেতে পারেন। এছাড়া পোস্ট অফিসে অন্যান্য ঝামেলা থাকে না। পোস্ট অফিসের সহজে টাকা জমানোর রয়েছে নানান পদ্ধতি। পোস্ট অফিসের একটি নির্ভরযোগ্য স্কিম
পোস্ট অফিস আর্ডি ক্যালকুলেশন:
রেকারিং ডিপোজিট বা সংক্ষেপে আরডি! কেউ যদি মাসে কুড়ি হাজার টাকা বেতন পান তবে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে রাখতে পারলেই নির্দিষ্ট সময়ের শেষে পাবেন মোটা টাকা হাতে। মেয়াদ: এর ম্যাচুরিটি পিরিয়ড পাঁচ বছর! দশ বছর পর্যন্ত সহজেই বাড়াতে পারবেন ম্যাচুরিটির পরে! ২০২৩ সালে সুদের হার ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৭% করা হয়েছিল। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে সহজেই একাউন্ট খুলতে পারেন! যেকোনো কাছাকাছি পোস্ট অফিসে চলে যান! এরপর সেখানে পরামর্শ নিয়ে রেকারিং ডিপোজিট খুলে ফেলুন!এই স্কিমে আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হবে।
তাতে প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে বিনিয়োগ করতে পারেন যে কোনো টাকা দিয়ে। এর মেয়াদ পাঁচ বছর তবে চাইলে এটি বাড়াতে পারেন। নাবালকের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে তবে সেক্ষেত্রে অভিভাবকের পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি দেখেন কোন কারনে বন্ধ করতে হচ্ছে এই রেকারিং ডিপোজিট। ম্যাচিওর হওয়ার আগেই অন্য কোন বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তবে তার জন্য ক্লোজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক বছর চালানোর পর যদি বন্ধ করেন তবে যে টাকা জমবে তাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। যে সুদ পেতেন তার থেকে ২ শতাংশ সুদের হারে বেশি ঋণ পাবেন। দশ বছরের মেয়াদে কত টাকা জমা পড়বে ভেবে দেখেছেন ।
১০ বছরের মেয়াদ:
দশ বছরে ৮ লাখ টাকার বেশি জমাতে পারবেন। যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে পাঁচ বছরে তিন লক্ষ টাকা সহজেই জমাতে পারবেন। অর্থাৎ ৬.৭ শতাংশ সুদ অনুযায়ী মোট ৫৬ হাজার ৮৩০ টাকা পাবেন পাঁচ বছর পর। আর দশ বছরে এই পরিমাণটা হবে তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে এই সুদ পাবেন আপনি। এই অ্যাকাউন্ট যদি আরও পাঁচ বছর বাড়াতে চান, তবে তাতে ১০ বছরের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ছ লাখ। তার উপরে যদি ৬.৭ শতাংশ সুদ বসে তবে টাকার অংক হবে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৭২ টাকা! দশ বছরে মোট জমা পড়বে ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৭২ টাকা! বাকিটা সুদ হিসেবে পাবেন।
এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে জমা করা টাকার উপর টিডিএস কাটা হয়। সেটি আয়কর আইন অনুযায়ী রিটার্ন ফাইল করলে পেয়ে যেতে পারেন। তাতে প্রাপ্ত সুদের উপর দশ শতাংশ tds বসে। প্রাপ্ত সুদ যদি ১০ হাজার টাকার বেশি হয় তবে tds কাটা হবে। দশ বছর পরে হাতে পাবেন মোটা অংকের টাকা। তবে যদি বেতন বাড়ে এবং আয়ের অন্য সংস্থান হয় সেক্ষেত্রে আরো বেশি টাকা জমা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Tata Group: আম্বানি-আদানিদের দিন শেষ! এইবার কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে হাজির টাটা! জানুন বিস্তারিত