Junior Doctors: একের পর এক বৈঠক ভেস্তে যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের। জট সব ওই ভিডিও স্ট্রিমিং – এই আটকে যাচ্ছে। একাধিকবার নবান্নে বৈঠকের আয়োজন হলে জুনিয়র ডাক্তাররা দুটি শর্ত রাখেন। সেগুলি ছিল একটি ৩০ জনের জুনিয়র চিকিৎসকের দল যাবে বৈঠকে এবং পুরো আলোচনাটি লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করে দেখানো হবে জন সাধারণকে। উপরের দুই শর্তের মধ্যে প্রথমটিতে রাজি হলেও দ্বিতীয়টিতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন কোনো মামলার সরাসরি সম্প্রচার আইন বিরুদ্ধ। সেই জন্যই একাধিক বার বৈঠক ভেস্তে গেলে ভবিষ্যত ডাক্তাররা পাঁচ দফায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেন।
আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে কেটেছে ৩৫ দিন। সাধারণ মানুষও সঠিক তদন্ত এবং বিচারের আশায় রাস্তায় প্রতিবাদে নামছেন। এর মধ্যে শনিবার হঠাৎ ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন মাননীয়া। সেখানেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা সাধারণের সাথে পুরো আলোচনা ভাগ করে নিতে চেয়েছেন বারংবার। নানান অছিলায় রাজ্য সেই প্রস্তাব নাকচ করে।
পরে জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসতে চেয়ে নবান্নে মেইল করে যদিও সেখানে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং এর কোনো কথা তারা উল্লেখ করেননি। এরপর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে একটি আলোচনা সভা বসার কথা স্থির হয় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। সেখানেও একই জটে আটকে যায় বৈঠক। জুনিয়র ডাক্তারদের ৩৫ জনের একটি টিম বারংবার তাদের দাবি তুলে ধরলে তারা লাইভ স্ট্রিমিং না হলেও দুই পক্ষের ভিডিও রেকর্ড করার প্রস্তাব রাখে, তাতেও সদুত্তর না মেলায় জুনিয়র ডাক্তাররা ভিডিওর কপি চেয়ে আলোচনায় বসতে চান। সেখানেও রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিনিধিদের তরফে সদুত্তর না মেলায় দফায় দফায় আলোচনা করার পর শেষমেশ বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বাইরের খারাপ আবহাওয়ায় বৃষ্টি ভিজে জুনিয়র ডাক্তারদের অপেক্ষা করতে দেখে তিনি তাদের ভেতরে গিয়ে বসার এবং চা খাওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা নাকচ করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাদের উদ্দ্যেশ্যে বৃষ্টিতে ভিজতে বারণ করেন। এক কথায় জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। কালীঘাটে যাওয়ার আগে তাদের তরফে জানানো হয় “কালীঘাটে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে , ভয় দেখিয়ে আন্দোলন তোলা যাবেনা।”
এদিকে কালীঘাট প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা শেষে হতাশ হয়ে জানিয়েছেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই ছোট আলোচনার পথে এগোতে উদ্যত হলে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে তা জানাতে গেলে হঠাৎ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলে ওঠেন “আর সম্ভব নয়, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই।” তবে কি জুনিয়র ডাক্তারদের অপেক্ষার , আন্দোলনের মূল্য নেই? তাঁরা তো আরও শতগুণ বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় আছেন! তাঁদের সময়ের দাম নেই? এই সব প্রশ্ন তুলে আজ আবারো ভেস্তে গেল বৈঠক। সমঝোতার রাস্তা এখনও অধরা!