বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বাধিক চর্চিত হচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha new twist) ধারাবাহিকটি। সদ্য শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক অসাধারণ স্টোরিলাইন, অভিনয় ও সংলাপের কারণে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহতেই টিআরপি তালিকায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে। এটি জি বাংলায় সম্প্রচারিত হওয়া একটি ধারাবাহিক। গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে বউরা ভীষণ পছন্দ করছে এই গল্প। এখানে যেন তাদের কথাই বলা হয়। এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মানালি দে। তার চরিত্রের নাম শিমুল। প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হচ্ছে। মানালির শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন রিতা দত্ত চক্রবর্তী।
বিয়ের পর থেকে কেবলমাত্র তার ‘ভুল’ ধরেই চলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিশেষত তার শাশুড়ি। শিমুলের কোনও কিছুতেই সন্তুষ্ট নন তার সাথে। উপরন্তু ‘মায়ের বাধ্য ছেলে’ পরাগ নকল ‘পুরুষত্ব’ (Kar kache koi moner kotha new promo) দেখাতে ওস্তাদ। কিভাবে বউকে শাসনে রাখতে হয় তারই নমুনা দেখিয়েছে গত পর্বে ও আজকের পর্বে। বাড়িতে গান-বাজনার আসর বসানোই হয়েছে শিমুলের জীবনের সবথেকে বড় ভুল।
আসলে পাড়ায় একটি অনুষ্ঠান থাকার দরুন তাকে রিহার্সালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রিহার্সালের জন্য যেতে চাইলে শাশুড়ির কাছ থেকে পারমিশন পায়নি সে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়িতেই রিহার্সাল করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যা মোটেও ভালো চোখে দেখেননি শিমুলের শাশুড়ি। তার ভাষ্যমতে, ভদ্র বাড়ির মেয়ে (Kar kache koi moner kotha new episode) বউরা নাচ, গান করে না। এই একই মত তার স্বামী পরাগেরও।
শিমুলের এই কাজ তাদের কাছে অনেক বড় অপরাধ। আর অপরাধ করলে শাস্তি তো পেতেই হবে। সেই শাস্তি দেবে কে? অবশ্যই যাদের বাড়ি তারা। শিমুল কেবলমাত্র সেই বাড়ির বউ। তারপর কর্তব্য শ্বশুর বাড়ির লোকের কথায় ওঠা (Kar kache koi moner kotha today episode) আর বসা এবং তাদের ফাই ফরমাস খাটা। এই কথা সরাসরি না বললেও, এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছে তা শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পরাগ শিমুলকে বলে, বাইরে কেউ ঘরে আসলে বা শিমুল যদি বাড়ির বাইরে যায় তাহলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। কিন্তু শিমুল বর্তমান যুগের মেয়ে, মুখ বুজে অন্যায় সে সহ্য করবে না।
তাই মুখ খোলার কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে অপমানিত করে মাঝরাতে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অবশ্য তার আগে পড়ার শিমুলের গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত যায়। সেই মুহূর্তে একমাত্র তার পাশে ছিল তার ননদ পুতুল। ‘স্বাভাবিক’ মানুষদের কাছে সে বোকা আর হাবলি হলেও, শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে একমাত্র তার মধ্যেই রয়েছে মানবিকতা। গরমে আর মশার মধ্যে শিমুলের সাথে বসেছিল সে। কিন্তু বিপাশারা চলে আসায় বাধ্য হয়ে শিমুলের (Shimul) কাছে ক্ষমা চাইতে হয় পরাগ ও তার মাকে। তারপর শিমুল বাড়িতে ঢোকে।