জি বাংলা একটি অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল কার কাছে কই মনের কথা। ধারাবাহিক টি শুরু হওয়া থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই ধারাবাইকে পারিবারিক সংসারে শাশুড়ি বৌমার প্রতিনিয়ত যে অশান্তি হয় সেটারই একটি অন্য রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিরিয়ালের প্রথম থেকেই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকের নায়িকা অর্থাৎ শিমুল শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকেই প্রতিনিয়ত অপমানিত হয়ে চলেছে তার শাশুড়ি বর এবং দেওরের কাছে।
শিমুল সংসারে যে কাজটাই করুক না কেন শাশুড়ির মন কিছুতেই জয় করতে পারে না সে। উল্টে সেই কাজের দরুন কৈফিয়ত দিতে হয় তাকে এবং অপমানিত হতে হয়। ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে শিমুলের শাশুড়ির বৌমার প্রতি রাগটা একটু একটু করে গলে জল হয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ মিলেছে বৌমা এবং তার মেয়েকে পাড়ার বৌ দের সঙ্গে ঘুরতে যেতে অনুমতি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে শিমুল এবং পাড়ার সব বউরা মিলে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে বেশ আনন্দে মেতে উঠেছে সকলেই।
কিন্তু এই আনন্দের মাঝখানেই নেমে আসে ঘোর বিপদ। শিমুল, সুচরিতা, বিপাশা, পুতুল এবং শীর্ষা সবাই যখন সমুদ্র সৈকতে একটু খোলা বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নিচ্ছে তখনই সুচরিতা হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতে লাগে। তার কারণ সুচরিতার ছোট্ট মেয়ে টুইংকেল সমুদ্রস্রোতে ভেসে যায়। ঠিক সেই সময় ওখানে উপস্থিত ছিলেন একটি ভদ্রলোক ও একটি ভদ্রমহিলা।
সমুদ্র সৈকতে থাকা সেই ভদ্রলোকটি বলে ওঠে একটা বাচ্চা মেয়েকে সামলে রাখতে পারেনা। পড়ে সেই ভদ্রলোকের বিষয়ে শিমুল জানতে চাওয়াতে বিপাশা বলে সুচরিতার স্বামী সে। তারা একসাথে থাকে না। আলাদা অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সে থাকে এই কথা শুনে শিমুল তীব্র প্রতিবাদ করে। সবকিছু মিলিয়ে এক জমজমাট পর্ব তৈরি হয়েছে এই ধারাবাহিকে।