শহরের বুকে কীসের প্রস্তুতি? খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড মেট্রো নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত, নববর্ষেই মিলবে উত্তর!

আপনি কি কলকাতার বাসিন্দা? শহরের ট্রাফিকের ভিড়ে প্রতিদিন বিরক্ত হন? মেট্রো পরিষেবা চালু হলে যদি যাতায়াত সহজ হয়ে যায়, তবে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে? কলকাতার অন্যতম প্রতীক্ষিত মেট্রো প্রকল্প জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর নিয়ে এল বড় খবর। বহু বছর ধরে এই রুটের কাজ চললেও এখনও পুরোপুরি পরিষেবা চালু হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ...

Updated on:

শহরের বুকে কীসের প্রস্তুতি? খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড মেট্রো নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত, নববর্ষেই মিলবে উত্তর!

আপনি কি কলকাতার বাসিন্দা? শহরের ট্রাফিকের ভিড়ে প্রতিদিন বিরক্ত হন? মেট্রো পরিষেবা চালু হলে যদি যাতায়াত সহজ হয়ে যায়, তবে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে? কলকাতার অন্যতম প্রতীক্ষিত মেট্রো প্রকল্প জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর নিয়ে এল বড় খবর। বহু বছর ধরে এই রুটের কাজ চললেও এখনও পুরোপুরি পরিষেবা চালু হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে। নববর্ষের মধ্যেই এক বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শহরের বুক চিরে দ্রুত ছুটবে মেট্রো

জোকা-এসপ্ল্যানেড রুটের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই ধীরগতিতে চলছিল। তবে এবার প্রকল্পের গতি বাড়াতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন (TBM), যা খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর টানেল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে। সূত্রের খবর, এপ্রিল মাস থেকেই টানেল খোঁড়ার কাজ শুরু হতে পারে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শহরের মানুষ আরও উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। কারণ, এই রুটটি চালু হলে দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে মূল কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা এসপ্ল্যানেডের সংযোগ অনেকটাই মসৃণ হবে।

তামিলনাড়ু থেকে এল বিশাল টানেল বোরিং মেশিন

জানা গেছে, কলকাতায় আসা এই TBM-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিটার এবং ওজন ৬৫০ টন। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সুড়ঙ্গ খননের সময় প্রিকাস্ট সেগমেন্ট রিং ব্যবহার করবে, যা নির্মাণকে আরও মজবুত করবে। প্রথম পর্যায়ে খিদিরপুর থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত ৯৫০ মিটার সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হবে। এরপর পার্ক স্ট্রিট থেকে এই লাইন সংযুক্ত হবে এসপ্ল্যানেডের সঙ্গে।

মেট্রোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

শুধু এখানেই শেষ নয়, মেট্রোর পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে পার্পল লাইন সম্প্রসারণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই লাইনের ১২টি স্টেশনের পাশাপাশি আরও দুটি নতুন স্টেশন সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে পুরো রুটের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে। কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় এটি একটি যুগান্তকারী সংযোজন হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কবে শেষ হবে অপেক্ষা?

যদিও প্রকল্পটি কবে সম্পূর্ণ হবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, টানেল বোরিং মেশিনের কাজ দ্রুত শেষ হলে ২০২৫ সালের মধ্যেই এই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু হতে পারে। নববর্ষেই এই রুটের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু হতে চলায় কলকাতাবাসীর আশা, এবার আর দেরি হবে না। এখন দেখার, কবে বাস্তবে ট্রেনে চড়ে এই পথে যাতায়াত করা সম্ভব হয়!

📅 বিষয় 🔗 লিংক/বিবরণ
🌤 আবহাওয়া আপডেট ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন
🔮 রাশিফল ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ
💬 হোয়াটসঅ্যাপ 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন
📢 টেলিগ্রাম 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
📰 অন্যান্য আপডেট View More