কিডনি স্টোন (Kidney Stone)? দিনের পর দিন কোমরে হালকা টান ধরছে, মনে হচ্ছে ঘুমের দোষ বা হয়তো চেয়ারে বসার ভুল ভঙ্গিমা। কিন্তু জানেন কি, এই সাধারণ বলে উড়িয়ে দেওয়া ব্যথা হতে পারে ‘কিডনি স্টোন’ (Kidney Stone)-এর প্রাথমিক সংকেত? আজকাল এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ করলেও তা উপেক্ষা করেন। বিশেষত গরমে পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত প্রোটিন বা ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে দেহে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম অক্সালেট, যা গোপনে তৈরি করে পাথর।
কিডনি স্টোন (Kidney Stone) উপসর্গ উপেক্ষা করলেই বিপদ (Ignoring Kidney Stone Symptoms May Be Dangerous)

অনেক সময় আমাদের জীবনযাত্রার চাপে শরীরের ছোটখাটো সমস্যা আমরা পাত্তা দিই না। কেউ ভাবেন কম খাওয়া বা গরমে এমনটাই হয়, কেউ আবার মানসিক চাপে অসুস্থতা ভাবেন। কিন্তু এই উপেক্ষা কখনও কখনও বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যখন ‘ফ্ল্যাঙ্ক পেইন’ (Flank Pain), ঘন ঘন প্রস্রাব (Frequent Urination), প্রস্রাবে জ্বালাভাব (Burning Sensation in Urine), কিংবা রক্তমিশ্রিত মূত্র (Hematuria)-র মতো উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দেয়। সময়মতো না বুঝলে এসব ছোট উপসর্গ ভয়াবহ কিডনি স্টোন (Kidney Stone) রূপ নিতে পারে।
Read More: Kidney Stone? জেনে নিন কিডনিতে স্টোনের ৮টি স্পষ্ট লক্ষণ!
কিডনি স্টোন (Kidney Stone) লক্ষণ চিনলেই বাঁচতে পারেন বড় জটিলতা থেকে (Early Symptoms of Kidney Stone)
‘কিডনি স্টোন’ (Kidney Stone) সাধারণত শুরু হয় কোমরের একপাশে তীব্র ব্যথা দিয়ে। একে বলা হয় ‘রেনাল কলিক’ (Renal Colic)। এই ব্যথা পিঠ থেকে শুরু হয়ে তলপেট, এমনকি উরুর দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরপরই আসতে পারে বমি ভাব (Nausea), বমি (Vomiting), অথবা অস্থিরতা (Restlessness)। অনেকেই এই ব্যথাকে সাধারণ পেটব্যথা ভেবে ভুল করেন। কিন্তু আসল ইঙ্গিত দেয় ‘ইউরিন’-এর পরিবর্তন। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, প্রস্রাবে জ্বালা এবং কখনও রক্ত দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদিও এখানেই শেষ নয়, এই ব্যথা যখন বেড়ে গিয়ে কিডনিতে চাপ তৈরি করে তখন শুরু হয় আসল সমস্যা।
কিডনি স্টোন (Kidney Stone) যত দেরি, তত ক্ষতি—দেখুন কী কী হতে পারে (Kidney Stone Risks If Ignored)
যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তবে এই স্টোন কিডনির ভেতরে ‘হাইড্রোনেফ্রোসিস’ (Hydronephrosis) বা ফোলাভাব তৈরি করতে পারে। এতে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, এমনকি স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দীর্ঘদিন চিকিৎসা না হলে ‘আজোটেমিয়া’ (Azotemia)-র মতো সমস্যাও দেখা দেয়, যা রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং দেহে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সঠিক সময়ে যদি ‘ইউএসজি’ (Ultrasound), ‘সিটিস্ক্যান’ (CT Scan), ও ‘ইউরিন টেস্ট’ (Urine Test)-এর সাহায্যে নির্ণয় করা যায়, তবে চিকিৎসা সহজ হয়।
Read More: গ্রীষ্মে শুষ্ক চোখ প্রতিরোধের ৭টি উপায়, সতর্ক না হলে বিপদ
কিডনি স্টোন (Kidney Stone) প্রতিরোধই সর্বোত্তম অস্ত্র, মেনে চলুন এই নিয়মগুলি (Kidney Stone Prevention and Treatment Tips)
কিডনি স্টোন (Kidney Stone) প্রতিরোধে প্রথম শর্ত হচ্ছে পর্যাপ্ত জলপান (Hydration)। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন। পাশাপাশি খাবারে লবণ (Salt) ও প্রোটিনের (Protein) পরিমাণ কমিয়ে আনুন। ‘সাইট্রাস ফ্রুটস’ (Citrus Fruits)-এর রস, বিশেষ করে লেবু বা মৌসুমি খেলে শরীরে ‘সাইট্রেট’ (Citrate) তৈরি হয়, যা স্টোন তৈরি হতে বাধা দেয়। পাথরের আকার যদি ছোট হয় (৫ মিমি-র কম), তবে তা নিজেই বেরিয়ে যেতে পারে। মাঝারি বা বড় স্টোনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে ‘ESWL’ (Extracorporeal Shock Wave Lithotripsy), ‘Ureteroscopy’ বা ‘Percutaneous Nephrolithotomy’-এর মতো চিকিৎসা। সবশেষে বলা যায়, শরীরের ছোট লক্ষণকেও কখনও অবহেলা করবেন না—কারণ সচেতন থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |
অন্যরকম স্বপ্নপূরণ! দ্বিতীয়বার সাদা গাউনে বিয়ে অনুরাগ কন্যা আলিয়ার, বর শেনের চোখে জল!