Kiran Dutta Trolled Rachana: বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই উত্তরোত্তর বাড়ছে তাপমাত্রা পারদ। কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় ইতিমধ্যে তাপমাত্রা ৪০° পার করে গিয়েছে। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এমন দাবদাহ অবস্থাতেও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন নেতামন্ত্রীরা। গরমের সঙ্গে একপ্রকার লড়াই করেই চলছে লোকসভা ভোটের কাজ। গরমের জন্য ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীও (Rachna Banerjee) জোরকদমে লোকসভা ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর করা কিছু মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়েছেন অভিনেত্রী। আর এইসবের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থীকে একপ্রকার কটাক্ষ করে বসলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার বং গাই ওরফে কিরন দত্ত (Kiran Dutta)।
Youtuber Kiran Dutta Trolled Rachna Banerjee:
নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে কিরণ লিখেছেন, “এই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে একটা মানুষের মাথা কতটা খারাপ হতে পারে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল রচনা ব্যানার্জি।” ইউটিউবারের এই মন্তব্যের পরই হট্টগোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিরণের এই পোস্টের কমেন্ট একজন লেখেন, “আর দিদি নম্বর ১ দেখবে না কিন্তু!” জবাব দিতে দেরি করেননি ‘বং গাই’। কমেন্টের জবাব দিয়ে লেখেন, “ডাকলেও যাব না…পরে তো ডেকেওছিল। একবার মায়ের জন্য গেছি বারবার কেন যাব! দাদাগিরি আরেকবার যেতে পারি।”
তবে কিরন দত্তের এই পোস্টের বিরোধিতা করে একজন লিখেছেন, “খিল্লি করে দুটো পয়সা হয়, কিন্তু তাতে কি আমাদের বাংলার সাধারণ মানুষের কোন কিছু লাভ হয়?সেভাবেই আপনি একটি রাজনৈতিক দলকে যেভাবে অ্যাটাক করেন তাতে আপনার লাভ হয়। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষেরও লাভ হয়। তাই আপনি আপনার রোজগারের জন্য খিল্লি করতেই পারেন। আর বাংলার মানুষ তাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার জন্য আপনাকে গালাগালি দিতেই পারে।”
এই কমেন্টের প্রত্যুত্তরে বং গাই জানান, “গালাগাল দিতেই পারে? সাইবার ক্রাইম নিয়ে এই জ্ঞান? এই ভাবে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? আপনি পলিটিক্স জয়েন না করে অনলাইন আর অফলাইন কী করি তার কিছুটা আমার সাবস্ক্রাইবাররা জানে। আপনি জানার চেষ্টা করুন। কমেন্টটা একটু লজিক্যাল হবে… ফেসবুক পোস্টে টাকা আসে না আরও একটা নতুন তথ্য দিলাম। প্রচুর খামতি আছে পড়াশোনায়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও রচনা ব্যানার্জীকে নিয়ে হওয়া ট্রোল বা মিমের উত্তর দিয়েছে স্বয়ং রচনা। বর্তমানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জানান, “রচনা কেন হাসছে, রচনা কেন খাচ্ছে, রচনা কেন হাত নাড়ছে, রচনা কেন চিৎকার করে কথা বলছে- সবেতেই মিম! আমি যা করব তা-ই মিম!”