Begun Korma: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতবে আম বাঙালি। বাঙালির দুর্গাপূজা হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে আগেই। দুর্গাপূজা মানেই শুধু প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখা নয় তার সাথে খাওয়া দাওয়া নতুন জামা কাপড় থেকে প্রেম আড্ডা আরো অনেক কিছু। পাঁচ দিনের পাঁচ রকম খাবারদাবারের আয়োজনে মুখর হয়ে থাকে দুর্গাপুজো। ষষ্ঠী অষ্টমী দশমী এই তিন দিন অনেকেই নিরামিষ আহার করেন।
এমনকি রেস্তরায় গেলেও নিরামিষ খেতেই পছন্দ করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে নিরামিষ খাওয়ার বিশেষ রীতি ছিল। বিশেষ করে কবিগুরুর পছন্দে নিরামিষর মধ্যে ছিল নানান লোভনীয় পদ। অন্যান্য বাঙালির মতোই খাদ্য রসিক ছিলেন কবিগুরু।
এমন এক পদ তিনি খেতে ভালোবাসতেন, যা হার মানিয়ে দেবে মাছ-মাংসকে। সামনে মাছ-মাংস থাকলেও খেতে ইচ্ছে করবে না। রুটি হোক কিংবা ভাত যে কোন কিছুর সাথেই খেতে পারেন এই পদ। পুজোর মেনুতে যদি ঠাকুরবাড়ির আবেশ আনতে চান তবে ভরসা রাখতে পারেন বেগুনের কোরমার ওপর।
বেগুনের কোরমা তৈরি করতে উপকরণ লাগবে তিনটি বেগুন, টক দই ২ কাপ, টমেটো কুচি এক কাপ, নুন, চিনি লঙ্কার গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ গোটা গরম মসলা, ১ তেজপাতা, সাজিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো, আদা বাটা এক চামচ, জয়ত্রী একটি, হিং এবং ঘি ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল!
প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে নিন এরপর নুন ও হলুদ মাখিয়ে বোটা সমেত লম্বা করে কেটে রাখা বেগুন গুলো ছাকা তেলে ভেজে নিন। এবার একটি ছোট পাত্রে হিং ও জল গুলে রাখুন। গোটা গরম মসলা হালকা করে পিষে দিন। এবার বেগুন ভাজার তেলে তেজপাতা ও গরম মসলা ফোড়ন দিয়ে দিন। হিং দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
এরপর টমেটো ও গুঁড়ো মসলা আদা বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। মসলা থেকে তেল না ছাড়া পর্যন্ত কষিয়ে যাবেন। এরপর দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। সামান্য জল দিয়ে দিতে পারেন। এরপর আগে থেকে ভেজে রাখা বেগুন গুলো দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে গেলে তার মধ্যে ঘি জয়ত্রী এবং সাহুজিরে ছিটিয়ে ফেলুন। দুই মিনিট চাপা দিয়ে পরিবেশন করুন।।
আরও পড়ুন: Mahalaya 2024: দেবীপক্ষের সূচনায় জল দিতে হয় পিতৃপুরুষকে! এর নেপথ্য কারণ জানেন?