Mahalaya 2024: পিতৃ পক্ষের অবসান এবং মাতৃ পক্ষের সূচনা তাকেই বলে মহালয়া। এই মহালয়া আসলে পিতৃপক্ষ এবং মাতৃ পক্ষের এক সংযোগস্থল। হিন্দু শাস্ত্রে রয়েছে এই বিশেষ দিনের বিশেষ গুরুত্ব। এই দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল এবং তর্পণ করে থাকেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সকালবেলা গঙ্গা স্নান করে পূর্ব দিকে মুখ করে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করার এই রীতি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রয়েছে।
মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠ শুনে ঘুম ভাঙ্গে বাঙালির। এরপর সারাদিন ভোর চলে নানান রকম উপাচার। গঙ্গা ভাগীরথী পদ্মা দামোদর চূর্ণী প্রভৃতি নদীর ঘাটে তর্পণ করার ভিড়। কিন্তু কেন তর্পণ করা হয় এই বিশেষ দিনে। তিল এবং জল দিয়ে কেন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়। মহালয়া এবং তর্পনের যোগাযোগ অবিচ্ছেদ্য।
মহাভারত এবং রামায়ণে রয়েছে এই তপন প্রথার কথা। একসময় মহাভারতে যুদ্ধক্ষেত্রে রণক্লান্ত হয়ে পড়েন কর্ণ। সেই সময় তাকে পরাস্ত করেন তার ভাই অর্জুন। কর্ণ স্বর্গে গমন করেন। তাকে সোনা হীরে মনি মানিক্য ইত্যাদি খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব দেখে কর্ণ অবাক হয়ে গিয়ে দেবরাজ ইন্দ্রকে প্রশ্ন করেন এসব খাওয়া যায় নাকি।
তার প্রশ্নের উত্তরে হেসে ইন্দ্র জানান জীবিত অবস্থায় তিনি ছিলেন দাতা অনেক দান করেছেন। কিন্তু কোনদিন পিত্র পুরুষের উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করেননি। মহা দান না করায় তিনি আজ পাতক। এক পক্ষে মরতে ফিরে গিয়ে তিনি আবার তার পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করেন। সেই দিনটি ছিল মহালয়া।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় এই তর্পনের উল্লেখ। এছাড়া রামায়ণে, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে বাবা দশরথকে তর্পণ করেছিলেন শ্রী রাম। আসলে এই দিন সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশ করে। এই সময় পিতৃলোক ছেড়ে উত্তর পুরুষদের বাড়িতে যাত্রা করেন পূর্বপুরুষরা। তাদের নানান রকম আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন।