Kishore Kumar Birth Day: প্রথম শুরু কোরাস গায়ক হিসাবে। তারপর সিনেমায় অভিনয়। কিন্তু, আভাষকুমার গাঙ্গুলির মনে গায়ক হওয়ার তীব্র জেদ। চিরপরিচিত নামটা বদলে নিয়ে হয়ে গিয়েছেন কিশোরকুমার (Kishore Kumar)।খাণ্ডওয়ারের বাড়িতে কিশোরকুমারের তখন ছোটবেলা। তখন তিনি আভাষ নামেই পরিচিত। কিন্তু, ছেলের বেজায় শখ গান গায়। হেড়ে গলার সেই গানে কানের পর্দা ফাটার জোগাড় হত বাড়ির লোকের। কেউ ছোট্ট কিশোরকুমারের পিছু ধাওয়া করত গান বন্ধ করানোর জন্য।
কিন্তু কে জানত এই ছেলে একদিন ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক নক্ষত্র হয় উঠবে। কণ্ঠ থেকে নিঃসৃত প্রতিটি সুর, তাল, ছন্দ যেন সরাসরি দেশবাসীর মনে গিয়ে লাগে।কণ্ঠে যেন তাঁর বাগদেবী বাস করেন। এই গান গাওয়ার প্রীতি তাঁকে একসময় বাড়ি থেকে পাড়ায় হাসির খোরাক বানিয়ে ছেড়েছিল।কিন্তু, কিশোরকুমার নাছোড় বান্দা শত বাধাতেও হার মানতেন না।
দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে ‘বম্বে টকিজ’ ছবিতে প্রথম গান গেয়েছিলেন। সেই সময় নিজের কিশোর নামটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই আভাস হয়ে যান কিশোর কুমার। বাংলা, হিন্দি, ভোজপুরি, অসমিয়া-সহ একাধিক ভাষায় তাঁর গানের সংখ্যা প্রায় ২০০০-এর বেশি। বদমাইশিতে কারোর থেকে কম যেতেন না। ক্লাস ফাইভে স্কুলে অঙ্ক পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিল না ছোট্ট কিশোর।
তাই, গোটা খাতায় জোকস, কবিতা, নক্সা, হিজিবিজি আর শিক্ষকের কার্টুন এঁকে দিয়েছিলেন।একবার সিভিক ক্লাস চলাকালীন কলেজে এভাবে বেঞ্চে তবলা বাজাচ্ছিলেন কিশোরকুমার। এরজন্য শিক্ষকের কাছে কড়া ধমকও খান তিনি। কিন্তু, কিশোরকুমারের পাল্টা উত্তর ছিল গান গেয়েই তিনি অর্থ উপার্জন করবেন। তাই এখন থেকে এভাবেই হাত ও গলা পাকাচ্ছেন।
যেমন যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রযোজকের কাছ থেকে পুরো পয়সা পেতেন ততক্ষণ নাকি গোঁফ অর্ধেক কেটে রাখতেন কিশোরকুমার। এমনকী, মাথার চুলের অর্ধেক অংশ ছেটে দিতেন। মুম্বইয়ের ওয়ার্ডেন রোডের ফ্ল্যাটে একবার এক সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল ‘কিশোরকুমার থেকে সাবধান’।
অভিনয় প্রতিভাতেও দুরন্ত ছিলেন কিশোর। ‘শিকারী’ ছবি তাঁর প্রথম কাজ।মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দাদা অশোক কুমার। দাদার কথা শুনে ১৯৪৬-১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ২২টি ছবি করেছিলেন কিশোর।কিন্তু তার মধ্যে অধিকাংশই বক্সঅফিসে ফ্লপ করে। এরপরই গানকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভা ছিল কিশোর কুমারের। সলিল চৌধুরী, শচীন দেব বর্মণ, রাহুল দেব বর্মণ, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল।
বাংলায় পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারদের সঙ্গে তাঁর অজস্র কাজ অমর হয়ে গিয়েছে। শক্তি সামন্ত, হৃষিকেষ মুখোপাধ্যায় ফনী মজুমদারের মতো পরিচালক, প্রযোজকরাও চাইতেন, ছবিতে কিশোর কুমারের একটি গান হোক। সলিল চৌধুরীর সুরে একটি গানে কিশোর কুমার একাই ‘ডুয়েট’ গেয়েছিলেন। কেরিয়ারে ৮ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কিশোর কুমার। রয়েছে এরম আরো মজার গল্প যা বলে শেষ করা যায়না তাই অমর শিল্পীর জন্মদিনে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধা ও প্রণাম।
আরও পড়ুন: RPLI Scheme: পোস্ট অফিস গ্রামীণ ডাক জীবন বীমা! অল্প টাকা পাবেন বিনিয়োগে 10 লক্ষ রিটার্ন, জেনে নিন