Biryani: বিরিয়ানির (Biryani) টানে মানুষ কত কী-ই না করে! এমন বাঙালি ভোজনরসিক খুঁজে বের করা মুশকিল যিনি বিরিয়ানি (Biryani) পছন্দ করেন না। যে কোনও মুহূর্তে বিরিয়ানি খেতে বেশির ভাগ খাদ্যরসিক বাঙালি এক কথায় রাজি হয়ে যাবে।এই শহর এখন বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক সবেতেই জায়গা করে নিয়েছে বিরিয়ানি (Biryani), সে চিকেন হোক বা মটন। বিরিয়ানি থাকলে ভোজন রসিক বাঙালির আর কিছুই চায় না। বিয়ে বাড়িতেও এখন মাছের কালিয়ার জায়গা করে নিয়েছে বিরিয়ানি (Biryani)।
তবে আপনি কি জানেন কার হাত ধরে বাংলায় প্রথম বিরিয়ানি (Biryani) প্রবেশ করে? ওয়াজেদ আলী শাহ এর হাত ধরে বাংলায় প্রথম বিরিয়ানি (Biryani) প্রবেশ করে। জা আজও বাঙালির কাছে প্রাণ প্রিয়। তবে আপনি কি এটা লক্ষ্য করে দেখেছেন? আপনি যখন বিরিয়ানি কিনতে যান তখন লক্ষ্য করে দেখবেন যে বিরিয়ানি হাঁড়ি থেকে তোলার সময় হাঁড়ির গায়ে হাতা দিয়ে ঠুঁকে আওয়াজ করা হয়। তবে কেন করা হয় এই আওয়াজ চলুন জেনে আসি
এর কারণ জানলে আপনি নিশ্চয় অবাক হয়ে যাবেন । হাঁড়ির গায়ে হাতা দিয়ে ঠুঁকে আওয়াজ পিছনে এক আশ্চর্য কারণ।
বিরিয়ানি (Biryani) তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে ঘি। আর যতবার হাঁড়ি থেকে বিরিয়ানি (Biryani) তোলা হয়, ততবার হাতায় লেগে যায় এই ঘি ভাত! আর এই কারণেই বিরিয়ানি তোলার সময় বার বার করে হাঁড়িতে হাতা ঠুঁকে আওয়াজ করা হয় যাতে হাতায় লেগে থাকা ভাত আবার গিয়ে হাঁড়িতেই পড়ে। বিরিয়ানি নষ্ট না হয়ে যায়।
বিরিয়ানির (Biryani) এই আভিজাত্য এখনও বর্তমান। সাধারণ মানুষ ক দূর থেকে লাল কাপড় দেখেই বুঝে যান কোনখানে রয়েছে বিরিয়ানির দোকান। তারপর আর কী, বিরিয়ানি প্রেমীরা ছুট লাগান অনেকটা সেই ‘খ্যাপা ষাঁড়’-এর মতো।