Lakshmir Bhandar: ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের প্রতিটি সাধারণ মানুষ বিশেষত রাজ্যের মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী বা লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প অন্যতম। বর্তমানে জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার উপরে রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে রাজ্যে সাধারণ মহিলারা হাজার টাকা এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পেয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি নতুন করে চর্চার উঠে এসেছে এই প্রকল্পটি।
বর্তমানে আরজিকর কান্ডের জেরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সারা রাজ্যে যেন আগুন জ্বলছে তার আঁচ পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর এমনকি সুদূর বিদেশেও। এমতাবস্থায় লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের টাকা ত্যাগ করে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকার বদলে নারীদের নিরাপত্তার যে প্রশ্ন উঠেছে তার মাঝেই নতুন করে এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধির জল্পনা শুরু হয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, দুর্গা পূজার আগেই নাকি আরও এক দফা বাড়তে পারে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা গিয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে। যদিও প্রকল্পটির ঘোষণা করা হয়েছিল নির্বাচনের আগেই। ২০২১ সালে নতুন সরকার গঠনের পরই সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বছর দুয়েক কাটতে না কাটতেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়। চলতি বছর সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকার পরিবর্তে ১২০০ টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়।
বর্তমানে যখন আরজিকর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে তখন এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, পুজোর আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলাদের টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতি মাসে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। রাজ্যের ২ কোটি ১১ লক্ষ মহিলা যারা এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এই সুবিধা পাবেন এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে আদৌ টাকা বৃদ্ধি করা হবে কিনা অথবা কত টাকা বৃদ্ধি করা হবে সেই নিয়ে সরকারিভাবে কখনো মন্তব্য করা হয়নি।