Life Certificate: আমাদের দেশে অনেক মানুষের কাছেই লাইফ সার্টিফিকেট রয়েছে। আবার অনেকেই লাইফ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব না বুঝে সেটা বানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। তবে এবার থেকে লাইফ সার্টিফিকেট আপনার কাছে থাকা বাধ্যতামূলক। জেনে নিন লাইফ সার্টিফিকেটে গুরুত্ব। যদি আপনার কাছে লাইফ সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে এই বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে আপনাকেও। আগেকার সময় যদি আপনার কাছে আপনার জীবনের প্রমাণপত্র না থাকতো তাহলে আপনি পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে পারতেন না।
এবার থেকে লাইফ সার্টিফিকেট থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ করে দেওয়া হলো। এবার থেকে লাইফ সার্টিফিকেট না থাকলে আপনি পেনশন স্কীম এর সুবিধা পাবেন না। যত দিন যাচ্ছে আমাদের দেশে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। অনলাইনের মাধ্যমেই এখন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন দেশের সব মানুষরা। আগেকার দিনে যেমন অফলাইনের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করা হতো বর্তমানে কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে সেই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন সকলে। বাড়িতে বসেই খুব সহজে আপনি নিজের লাইফ সার্টিফিকেট বানিয়ে নিতে পারেন।
আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানানো হলো কিভাবে আপনি ঘরে বসে লাইফ সার্টিফিকেট বানাতে পারবেন এবং কেন এটি আপনার জন্য জরুরী। এপিএফওর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষ রয়েছেন তারা পেনশন পাচ্ছেন। যারা যারা পেনশন স্কিমের সুবিধা পান তাদেরকে এবার থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হবে। পেনশন পাওয়ার আগে প্রত্যেকটি প্রত্যেক বছর নতুন করে জমা দিতে হয় জীবন সমস্যা পত্র। তবে আগে যেমন অনলাইনে এর সুব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে অনলাইনেও সেই ব্যবস্থা করে তোলা হয়েছে। এবার থেকে অনলাইনেই আপনি আপনার লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন।
লাইফ সার্টিফিকেট বানাতে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি জরুরি?
আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বর্তমান মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি, রেশন কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ, জাতী শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক পাসবুক। অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি এই সার্টিফিকেট বানাতে পারেন। প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর হোমপেজ এ যেতে হবে। সেখানেই ক্লিক করতে হবে গেট সার্টিফিকেট অপশনে। যারা যারা লাইফ সার্টিফিকেট বানাতে চান তাদেরকে ডাউনলোড করে নিতে হবে সেই সফটওয়্যারটি। সফটওয়্যারটি ইন্সটল হয়ে যাওয়ার পরে খুলতে হবে এবং চলে যেতে হবে ড্যাশবোর্ডে। সেখানেই লাইভ সার্টিফিকেট বানানোর অপশন পেয়ে যাবেন।এরপর যা যা ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সবকিছু আপলোড করতে হবে। এবং সবশেষে গিয়ে পেজটির প্রিন্ট আউট তৈরি করে নিতে হবে।