মল্লিক পরিবারের এমন বড় অঘটন এর আগে কখনো ঘটেনি এ কথাই জানাচ্ছেন বর্ষিয়ান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক স্বয়ং। এ কোন অশনি সংকেত বয়ে আনবে? এবছর তাদের ২০ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি হয়েছে কিন্তু গত শুক্রবার রাতে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। আচমকাই মাঝরাতে মায়ের ডান হাত থেকে মূর্তির একাংশ ভেঙে পড়ে।
পরিবারের সদস্যরা দমকলে খবর দিলে দমকলের কর্মীরা এসে হোস পাইপ দিয়ে সম্পূর্ণ ধুয়ে দিয়ে গেছে। আবারো চলছে নতুন করে মূর্তি তৈরির কাজ। তবে এহেন ঘটনাতে হতচিত হয়ে গেছেন পরিবারের সকলে কারণ এই পরিবারের পুজো শতাব্দীর প্রাচীন। মল্লিক বাড়ির দুর্গাপূজার প্রচলন করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক। তাঁর পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তারপর থেকেই মূলত এই পুজোর প্রচলন।
অত্যন্ত নিষ্ঠা ভরে পূজোর চারটে দিন আনন্দে মেতে ওঠেন মল্লিক বাড়ির সকলে। এই পুজোয় সমস্ত রীতি নীতিতে যাতে ত্রুটি না হয় তার দেখভালের জন্য দায়িত্বে থাকেন রঞ্জিত মল্লিক। তাঁর সঙ্গে দায়িত্বে থাকেন তার সুযোগ্য কন্যা অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকও। বাড়িতে এই চারটি দিন কোন অভিনেত্রী নয় একেবারে বাড়ির মেয়ে হিসেবে পুজোর কাজকর্ম করেন।
প্রত্যেক বছরই অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো হয় মল্লিক পরিবারে। কলকাতার অভিজাত পরিবারের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হলো এই বাড়ির পুজো। চারিদিকে মায়ের আগমনী সুর কাশবন শিউলি ফুলের গন্ধ বছর পরে উমা যে আবার ঘরে ফিরছে তারই আগমনী বার্তা কিন্তু দেবিপক্ষে শুরুতেই এহেন ঘটনা ঘিরে মল্লিক পরিবারের সকল সদস্যদই চিন্তিত। যদিও তাঁরা মনে করছেন এই সুবিশাল মূর্তি যারা নির্মাণ করেছেন তাঁদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে এহেন ঘটনা ঘটত না। আগামী দিনের সবটুকু যেন ভাল হয় এই আশা নিয়েই আমরা বাঁচি এবং বাঁচবও।