Mamata Banerjee: আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে জোড়ালো প্রশ্ন। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য ও রাজনীতি। রাজ্যের নানান হাসপাতালের কর্মী ও ডাক্তারদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিশাল উদ্যোগ নিলো রাজ্য। বৃহস্পতিবার নবান্নে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর এদিন তিনি জানান স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কি কি করতে হবে তার আলোচনা করা হয়েছে। কথা মতোই হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। এই অবস্থায় ওই হাসপাতালের অধ্যক্ষই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারমান হবেন। প্রতি সমিতিতে একজন সিনিয়র ডাক্তার,একজন জুনিয়র ডাক্তার ও নার্স থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন একজন জন প্রতিনিধি।
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাসপাতাল গুলির জন্য বরাদ্দ করা হলো ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ডাক্তারি স্টুডেন্ট দের হোস্টেলেও সুরক্ষার বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে যারা কাজের জন্য আসছেন তাদের সমস্ত বিবরণ জমা নেওয়া হবে। চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সিস্টেম।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল তাদের প্রতিশ্রুতি পূরন হচ্ছেনা। এব্যাপারে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাই সকলে বন্যার কাজে ব্যস্ত। তবে কাজ শুরু হয়েছে। রাতে শহরের মানুষের নিরাপত্তার জন্য “রাত্তিরের সাথী” নামক একটি অ্যাপ্লিকেশন সামনে আনার কথাও ভাবা হচ্ছে।