Medicine Ban: রোগব্যাধি হলেই ভরসা করতে হয় ওষুধের উপর। সর্দি কাশি থেকে মারণ রোগ ক্যান্সার রয়েছে সব রোগের জন্যই রয়েছে ওষুধ। শুধুমাত্র রোগের এলাচ হিসেবে নয় শরীরে পুষ্টিগুণ যোগান দিতে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে ওষুধের জুড়ি মেলা ভার। প্রায় প্রতিটি ঘরে কোন না কোন মানুষ অসুস্থ। জ্বর সর্দি-কাশি ইত্যাদি তো লেগেই রয়েছে। শুধুমাত্র ডাক্তারের কথা অনুযায়ী নয় অনেকে দোকান থেকে কিনে ওষুধ খেয়ে থাকেন।
বলা যেতে পারে মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে অপরিহার্য উপাদান হয়ে রয়েছে এই ওষুধ। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার এই ওষুধের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ১৫৬ টি ওষুধ বিক্রি করা বন্ধ। ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ওষুধের উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা (Medicine Ban)।
এইসব ওষুধ নাকি মানুষের শরীরে আরো রোগ এবং ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু এগুলি কেমন ওষুধ। আসলে এগুলি এমন ওষুধ যার মধ্যে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান থাকে। অনেক সময় আবার নানান রকম রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হয় এগুলিকে আবার ককটেল ওষুধও বলা হয়। একই রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিন চার রকমের ওষুধের উপর এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে (Medicine Ban)।
বিজ্ঞপ্তিতে সরকার জানিয়েছে এই ধরনের ওষুধের নিরাপদ বিকল্প ব্যবহার রয়েছে। ককটেল ওষুধ নয় সাধারণ ওষুধ ব্যবহার করুন। ১৯৪০ এর ২৬ এ ধারা অনুযায়ী এর উৎপাদন বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে(Medicine Ban)। ওষুধ কেনার আগে ভালোভাবে নিরীক্ষণ করবার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্যাপসুল কিংবা ট্যাবলেটের গায়ের লেখা পড়লেই বোঝা যাবে। ঠিক কোন কোন ওষুধ বাতিল হয়েছে। এই ধরনের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তালিকা:
মেফেনামিক অ্যাসিড +প্যারাসিটামল ইঞ্জেকশন, সেটিরিজাইন এইচসিএল, প্যারাসিটামল+ফেনীলেফ্রিন, লিভোস্যাকটিসাইন+ফেনীলেফ্রিন, প্যারাসিটামল+প্রোপানলামিন, ক্যামিলফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড, প্যারাসিটামল ৩০০! এরমধ্যে অনেক ওষুধ আগেই তৈরি এবং উৎপাদন করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।! ২০১৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়।! বিশেষজ্ঞদের সেই প্যানেল জানিয়ে দেয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি হয়নি এইসব ওষুধগুলি। ২০২৩ সালে ৩৪৪ টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর আরো কয়েকটি ওষুধ বাতিল করা হলো।
আরও পড়ুন: Shaheen Shah Afridi: টেস্টের মাঝেই বাবা হলেন শাহিন, নবজাতকের আগমনে বিশেষ উদযাপন করলেন পাক পেসার