Nandini Didi: বছর খানেক ধরেই উচ্চ শিক্ষিত হয়েও পাইস হোটেল চালানোর জন্য চর্চার শীর্ষে উঠে আসে নন্দিনী দিদির নাম। এরপর ফেসবুক, ইউটিউবের ফুড ব্লগার দের করা বিভিন্ন ভিডিওতে রীতিমতো ভাইরাল হয় নন্দিনী দির ভাতের হোটেল। ডালহৌসিতে বিখ্যাত অফিস পাড়ার এই নন্দিনী দির হোটেলের খাবারে মানুষেরও ঢল নামতে থাকে। প্রশংসা সমালোচনা সব মিলিয়েই নন্দিনীদি খুলে ফেলেন তার দ্বিতীয় হোটেল নিউটাউনে।
এবার নিজের হোটেলে খেতে খেতেই নন্দিনী দিকে বলতে শোনা গেলো “ব্যবসায়ী আর চিটিংবাজের মধ্যে তফাৎ আছে। আমি ব্যবসায়ী চিটিংবাজ নই।” সম্প্রতি ফেসবুকের একটি পেজ থেকে এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই “আমি চিটিংবাজ নই” বলে সুর চড়াতে দেখা গেছে নন্দিনী দিদিকে।
তবে কেনো এই কথা বলেন তিনি? ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেলের খাবারের দাম ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি। সেই প্রসঙ্গেই এইদিন নন্দিনী দিদির মুখে এই কথা শোনা যায়। এর আগে দাম বেশি অভিযোগে শোনা যায় “আমি ব্যবসা করব.. আমি কখনও কাউকে জিজ্ঞেস করিনি দাম কম কেনো? যে পারবে খাবে যে পারবেনা খাবেনা..”
প্রসঙ্গত নন্দিনী দি তার কড়া মেজাজ এবং মেজাজ হারিয়ে নিজের বাবা এবং কর্মচারীর উপর খারাপ ব্যবহারের ভিডিও বহুবার ভাইরাল হলে সমালোচনাও হয়েছে। তবে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে তাঁকে পথে নামতেও দেখা গিয়েছে। বাংলার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মিছিলে গলা মিলিয়েছেন তিনিও। তার প্রতিবাদী সত্বা সত্যিই অবাক করার মতো।
তবে এদিনের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে ঠান্ডা মাথায় মূল্য বৃদ্ধির কারণ বর্ণনা করতেও দেখা গিয়েছে। এদিন তিনি নিজের হোটেলের একটি নিরামিষ থালী দেখিয়ে বলেছেন এই থালিতে করলা ভাজা, ঝুড়ি আলু ভাজা, বেগুনী, আলু সিদ্ধ , পাপড় চাটনি থাকে। এর থেকে ৪টি পদ তুলে নিলে তিনিও এই থালি ৩০ টাকায় দিতে পারবেন। এতগুলো পদের দাম ৫০ টাকা হবেনা? প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে নিজের কাজে মন দিতে দেখা যায় নন্দিনী দিকে।
ডালহৌসি অফিস পাড়ায় দোকান হওয়ায় রবিবার ছুটির দিন বলে পাইস হোটেল বন্ধ থাকলেও তিনি তাঁর নিউটাউনের হোটেলটি সপ্তাহের সাত দিনই খোলা রাখছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত খাবার মিলবে নন্দিনীদির ভাতের হোটেলটিতে।
আরও পড়ুন: Dearness Allowance: রাজ্যজুড়ে আর্থিক সংকট, মন্ত্রী-আমলাদের দু’মাস বেতন বন্ধ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!