জি বাংলায় সম্প্রচারিত একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। কিছুদিন আগেই পথচলা শুরু করেছে এই ধারাবাহিক। অল্প দিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকটির মধ্যে দিয়ে বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। যে কারণে দর্শক দেখতে এটি বেশ পছন্দ করছে।
এমন একটা বাস্তবমুখী গল্প নাড়িয়ে দিয়েছে দর্শক হৃদয়। এই গল্পের প্রতিটি চরিত্রই বাস্তব থেকে নেওয়া। বাস্তবমুখী ভাবেই গল্পের চরিত্রগুলি তৈরি করেছেন গল্পের লেখ লেখিকা। আর সুন্দর অভিনয়ের মাধ্যমে কলাকুশলীরা সেই চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। একদিকে পরাগের পরিবার যেভাবে শিমুলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে চলেছে তাতে ভক্তদের মধ্যে রাগ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে শিমুলের ছোট ছোট প্রতিবাদ বেশ মন কেড়েছে দর্শকদের।
এই ধারাবাহিক দেখে দর্শক একটা কথাই বলছি এটা আমাদের সমাজের লুকিয়ে থাকা বাস্তব চিত্র। এমন গল্প যা বাস্তবে প্রকাশ্যে আসে না। লুকিয়ে থাকে বাড়ির মধ্যেই, মনের মধ্যেই। আর পরাগ চরিত্রটিও এমনই এক বাস্তবমুখী চরিত্র। যে কেবলই পুরুষত্বের দম্ভ করতে জানে। যে পুরুষ শব্দটিকে নিয়ে অহংকার করতে ব্যস্ত। পরাগের মতো এমন পুরুষ লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমাজে।
শিমুলের সঙ্গে পরাগের বিয়ে হলেও, শিমুলকে সে মানুষ বলে মনে করে না। মা শিমুলকে অপমান করলে তা মেনে নেয়। কিন্তু শিমুল প্রতিবাদ করতে সেটা পরাগের চোখে শিষ্টাচারিতা হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রীর মনের খোঁজ নেওয়াটা একটা আসল পৌরুষ। তবে আদতে নিজেকে পুরুষ বলে দম্ভ করা পরাগ স্ত্রীর মনের অবস্থার খোঁজ পর্যন্ত নেই না। আর এমন চরিত্র আমাদের সমাজের লুকিয়ে রয়েছে। যারা নিজেদের শিক্ষিত পুরুষ বলে দাবি করে। আদতে তারা অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।