Anurager Chhowa: অনুরাগের ছোঁয়া ( Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে সবকিছু হারিয়েছে নায়িকা দীপা। অর্জুনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলেও ভেঙে গিয়েছে সেই বিয়ে। ডাক্তার বাবু অর্থাৎ গল্পের নায়ক ফিরে আসবে এই আশা নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখে দীপা। এদিকে সম্প্রতি সে দুঃস্বপ্ন দেখেছিল সূর্যের বড় বিপদ হয়েছে আর সেই বিপদ যেন সত্যি হল। সূর্যের মা লাবণ্য সেনগুপ্ত এবং তার আইনত স্ত্রী দীপা দুজনেই স্বপ্ন দেখেছে সূর্যের ঘোর বিপদের। বিপদের পড়ে বড় দুর্ঘটনায় সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে।
New Twist In Anurager Chhowa:
গোটা সেনগুপ্ত পরিবার এই খবর শোনার পর থেকেই মুছড়ে পড়েছে। এদিকে দীপা এখনো তার প্রাণের ডাক্তার বাবুকে ভালোবাসে তাই তার জন্য সবকিছু বাজি রাখতে পারে দীপা। কোনো বড় মানসিক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে সূর্য। একদিকে যেমন সে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে এবং অন্যদিকে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তার মনে। ধরে নেওয়া হচ্ছে সূর্যর কোনো গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। মানসিক হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সূর্য।
সেখানেই চিকিৎসকদের সর্বক্ষণের পর্যালোচনায় রয়েছে সে। একসময় যিনি ছিলেন মানুষের ভগবান ডাক্তার সূর্য সেনগুপ্ত আজ তিনি নিজেই হাসপাতালের বেডে। চিকিৎসকেরা প্রাণ মন দিয়ে চেষ্টা করছেন যাতে আবার সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় সূর্যকে। তবে তার বাড়ির লোকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। চিকিৎসায় কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না ধীরে ধীরে যেন আরো অন্ধকারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সূর্য। এদিকে ডাক্তারের কাছ থেকে স্টেথোস্কোপ পেয়ে সূর্য সেটা নিয়ে এমন ভাবে নাড়াচাড়া করে তা দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের।
কোনো পটু ডাক্তার ছাড়া এভাবে এই যন্ত্র নিয়ে কেউ নাড়াচাড়া করতে পারেন না এমনটাই ভাবেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা ধারণা করে নেন ইনি নিশ্চয়ই কোনো বড় ডাক্তার ছিলেন। তখন ডাক্তারের দিকে ওই যন্ত্র ছুড়ে দেয় সূর্য। তাকে প্রশ্ন করতে সে চিৎকার করে জানায় আমি কোনো ডাক্তার ছিলাম না আমি কিছু না আমার কাছে কিছু নেই। চিকিৎসকরা আরো চিন্তিত হয়ে ওঠেন। এদিকে খবরের কাগজে সূর্যর ছবি আসে নিখোঁজ হিসেবে। সেটা দেখার পর থেকেই আরও বিচলিত হয়ে যায় দীপা যেভাবেই হোক তাকে খোঁজে বার করতে হবে।
আরও পড়ুন: Baishakhi Banerjee: দুষ্টুকেই বেশি ভালোবাসে শোভন! ভালো মা হতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ বৈশাখীর
ছোট্ট দুই মেয়েকে সে তবলার কাছে রেখে যায়। বাড়িতে কাউকে কিছু বলে না দীপা। কারণ সে জানে এখন এটা নিয়ে সবাইকে জানালে যে কোনো মুহূর্তে বিপদ আসতে পারে। রাতের বেলা সোনা-রুপাকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় দীপা। ঘুম থেকে উঠে সোনা-রুপা দেখতে পায় মায়ের চিঠি। তারা বুঝতে পারে তার মা বাবার খোঁজেই গিয়েছে। কিন্তু দুই ছোট্ট কন্যা কাল বিলম্ব না করে মা এবং বাবার খোঁজে বেরিয়ে যায়। এবার কি হবে তাদের পরিণতি! আদৌ কি দীপা এবং তার দুই সন্তান খুঁজে পাবে বাবাকে। জানতে দেখতে হবে অনুরাগের ছোঁয়া।