Offbeat Place In North Bengal: বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। সামান্য ছুটি পেলেই কোথাও যেন ঘুরতে যেতে মন চায়। তাইতো রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। কিন্তু হারিয়ে গেলে তো চলবে না পথ খুঁজে আবার ফিরতে হবে। ফিরতে হবে অফিসে কিংবা বাড়িতে। আর মাত্র কয়েকটা দিন পর পাওয়া যাবে লম্বা পুজোর ছুটি। তার আগে কোথায় যাবেন সেই ডেসটিনেশন ঠিক করে রেখেছেন কি।
যদি না করে থাকেন তবে চোখ বন্ধ করুন। নিশ্চয়ই চোখের সামনে দেখতে পারছেন দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। আর এই পাহাড় বলতেই বাঙালির মনের দিগন্তে রাজত্ব করে দার্জিলিং। কারণ বাঙালির চিরচেনা দিপুদার একটি এই দার্জিলিং। দার্জিলিং তো অনেকবার গিয়েছেন তবে কখনো যামুনি গিয়েছেন। যদি না গিয়ে থাকেন এবারে পুজোর আগে প্ল্যানিং করে নিন। আবার চাইলে এই উইকন্ডে বেরিয়ে আসতে পারেন।
যামুনি ফরেস্ট:
দার্জিলিং থেকে চৌরাস্তার মোড়ে মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। পাহাড়ি রাস্তার চারিদিকে রয়েছে আঁকাবাঁকা পথ। হেঁটে নয় বরং গাড়িতে গিয়েই পাবেন শান্তি। কাছাকাছি রয়েছে প্রায় চার-পাঁচটি চা বাগান এবং পাইন বাগান। তবে যামুনি টুরিস্ট সেন্টারের একেবারে কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে রঙ্গিত নদী। নদীর উপরে হ্যাঙ্গিং তারের ব্রীজের উপর দিয়ে যখন হেঁটে যাবেন মনে হবে যেন রূপকথার সিড়ি বেয়ে হাঁটছেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা বিভিন্ন সিনেমায় দেখেছেন এই ছবি। ব্রিজ পেরিয়ে একটু দূরেই রয়েছে নদীর ধারে পার্ক। সেই পার্ক পিকনিক স্পট হিসেবেই পরিচিত। সকাল দশটা নাগাদ খুলে দেওয়া হয় এই পার্ক। মাত্র কুড়ি টাকা এন্ট্রি ফিস দিয়ে প্রবেশ করতে হয় এখানে।
কিভাবে যাবেন:
কিন্তু কিভাবে যাবেন? হাওড়া অথবা শিয়ালদহ ট্রেন ধরে চলে যেতে হবে এনজিপি। এরপর সেখান থেকে প্রাইভেট কারে করে পৌঁছে যেতে পারেন এই সুন্দর স্থানে। কেউ দার্জিলিং যাওয়ার পথে বেরিয়ে আসতে পারেন। প্রতিদিন খরচ হবে প্রায় দু হাজার টাকা। রয়েছে নিরিবিলিতে হোমস্টে। সেখানে একজনের থাকা খাওয়ার খরচ প্রায় ১৫০০ টাকার মধ্যে। তবে এখনো চালু হয়নি কটেজ।