Online Payment: ভারতের প্রধানমন্ত্রী সর্বদা অনলাইন লেনদেনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অনলাইনে লেনদেন করবার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন তিনি। কেবলমাত্র হাতের ছোঁয়াতেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছে টাকা। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে এই অনলাইন ব্যাংকিং। বর্তমানে হোটেলের বিল মেটানো থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক বিল দেওয়া সব কিছুতেই ছোঁয়া লেগেছে অনলাইনে।
কৃষক থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু তলার মানুষ সকলেই ব্যবহার করছেন এই অনলাইন পেমেন্ট মেথড। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পণ্য ও পরিসেবা কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে এই অনলাইন পেমেন্ট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে বিলডেস্ক এবং সিসি এভিনিউএর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। প্রায় ১৮ শতাংশ জিএসটি বলতে পারে এই অনলাইন পেমেন্টে।
ক্রেডিট ডেবিটে খরচ:
যার ফলে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২০০০ টাকার কম পেমেন্ট করলে দিতে হবে জিএসটি। অর্থাৎ দোকানে বাজারে ২০০০ টাকার কম কেনাকাটা করলেও এক্সট্রা টাকা দিতে হতে পারে এবার থেকে। জি এস টি বাবদ এই টাকা দিতে হবে। লেনদেনের এগ্রিগেটর সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। দেশের সিংহভাগ ডিজিটাল পেমেন্ট হয় ২০০০ টাকার অনেক কমে। এরফলে সমস্যায় পড়তে হয় পেমেন্ট সংস্থাগুলিকে। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। Gst ফিটমেন্ট প্যানেল জানিয়ে দিয়েছে এগ্র্রিগেটর সংস্থাগুলির উপর তারা জিএসটি আরোপ করবে।
নোট বন্দির সময়:
২০১৬ সালে ৫০০;১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। পেমেন্ট এগ্রিগেটরদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ছোটখাটো লেনদেনে, পরিষেবা দিলে সে ক্ষেত্রে কর ধার্য করা হবে না। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই শতাংশ পর্যন্ত ফি নিয়ে থাকে তারা। তবে তা দুই হাজার টাকার উপরে লেনদেন করার সময়।। কিউ আর কোড ,POS মেশিন, নেট ব্যাংকিং সহ ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এই ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
ব্যবসায়ীরা পড়বেন সমস্যায়:
ফলে এদের উপর জিএসটি আরোপ হলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষও। বর্তমানে যাদের এক শতাংশ গেটওয়ে ফি সহ দিতে হয় ১০ টাকা GST কার্যকর হলে তার দাম দিতে হবে ১১.৮০ টাকা। UPI ডিজিটাল পেমেন্টের বড় মাধ্যম। এতে অবশ্য জিএসটি প্রযোজ্য হলে তা কার্যকর হবে কেবলমাত্র ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্টর ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Deepika Padukone: গণেশের আশীর্বাদে ঘরে এল লক্ষ্মী! কি নাম রাখলেন দীপভীর