PMEGP Loan: দেশের যুবসমাজ এবং ভারতের ভবিষ্যতের যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকার ভারত সরকার। যার জন্য ভারত সরকার ইতিমধ্যেই সকলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ট্রেনিং প্রকল্প চালু করেছে। আর এই সমস্ত ট্রেনিং প্রকল্পে বিনামূল্যে ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে।
আর যদি কেউ নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সহজেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন যোজনা শুরু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। আধার কার্ড থাকলেই এই লোনের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। কিভাবে কি করতে হবে? চলুন তাহলে আজকের প্রতিবেদনে এই লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেশের যুবক -যুবতীরা যাতে নিজেদের ব্যবসা শুরু করে উপার্জন করতে পারে তার জন্যই PMEGP লোন প্রকল্প চালু করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্পে শুধুমাত্র আধার কার্ডের দ্বারা লোনের জন্য আবেদন করা যাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে নূন্যতম সুদের বদলে ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ পাওয়া যেতে পারে।
শুধু তাই নয়, লোনের উপর ২৫-৩৫% পর্যন্ত সাবসিডি পাওয়া যেতে পারে। তবে আবেদন গ্রহীত হলে প্রথমে ট্রেনিং দেওয়া হয়, তারপরেই লোন পাশ হবে।সরকারি প্রকল্পের আওতায় লোন পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। জেনে নিন সেগুলো কি কি।
- 1.আবেদনকারীকে অন্ততপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক বা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে থাকতেই হবে।
- 2.যে ব্যক্তি লোনের জন্য আবেদন করবেন তাঁর বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- 3.আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ও বৈধ আঁধার কার্ড থাকতে হবে।
- 4.লোনে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র (মাধ্যমিক / উচ্চমাধ্যমিক / শেষ পাশ করা পরীক্ষার রেজাল্ট)
- জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে)
- একটি চালু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- মোবাইল নাম্বার ও ইমেল আইডি।
কিভাবে আবেদন করবেন?
প্রথমেই আপনাকে PMEGP এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ চলে যেতে হবে। তারপর সেখানে যাওয়ার পর PMEGP লোন অপশনেক্লিক করে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে সেটা ফিল আপ করতে হবে। ফর্ম ফিলাপ হয়ে গেলে কিছু ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে বলা হবে। সেগুলিকে আপলোড করে সবটা শুরু থেকে একবার চেকিং করে সাবমিট করে দিতে হবে। এরপর আপনার দেওয়া তথ্য ভেরিফিকেশন করা হবে। ভেরিফিকেশন সফল হলে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে যোগাযোগ করে লোন প্রদান করা হবে।