Post Office Recurring Deposit Scheme: বর্তমানে বাজারে নানান ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের জন্য আমজনতা ব্যাঙ্কের পর পোস্ট অফিসের উপরই বেশি ভরসা করে থাকে। ভালো সুদের হারের সঙ্গে এখানে নিশ্চিত রিটার্নও মেলে। পোস্ট অফিসের বিভিন্ন বিভিন্ন সেভিং স্কিমগুলি বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো রেকারিং ডিপোজিট প্ল্যান (পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট)। এই স্কিমটি যেমন ঝুঁকিহীন তেমন এখান থেকে চমৎকার রিটার্নও পাওয়া যায়।
জানুন, সুদের হার:
সম্প্রতি সরকার এই স্কিমে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেই সুদের হার ছিল ৬.২%। সেখান থেকে বাড়িয়ে সুদের হার ৬.৫% করা হয়েছে।অর্থাৎ পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের সুদের হার ৩০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আগের থেকেও বেশি বেনেফিট পাবেন গ্রাহকরা।
এই স্কিমে ন্যূনতম ১০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার সংশোধন করে থাকে। গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী এক বছর, দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমে টাকা রাখার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের নাবালক সন্তানদের নামেও এই স্কিমে টাকা জমায়েত রাখতে পারেন। তাছাড়া জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করেও রাখা যেতে পারে। এই স্কিমে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার পর মাত্র ১০০ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন গ্রাহকরা। এই স্কিমে১০ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি মাসে ৩০,০০০ টাকা বেতন পান। মাসে ৫,০০০ টাকা করে পোস্ট অফিস সেভিংস স্কিমে রাখতে শুরু করলে ১০ বছরে তিনি ভালই রিটার্ন পাবেন। বর্তমানে সুদের হারের হিসাবে ১০ বছর পর প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন। সেভিংসে রাখলে এমনিতেই ৬ লক্ষ টাকা জমত। কিন্তু এক্ষেত্রে সুদ মিলবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম অ্যাকাউন্ট খোলার ৩ বছর পরে বন্ধ করা যায়। বিনিয়োগ শুরুর এক বছর পর থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুবিধাও মিলবে অর্থাৎ যদি কোনও ব্যক্তি এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার পরে ১২ মাসের জন্য কিস্তি জমা করেন, তবে তার ভিত্তিতে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারবেন। এই স্কিমে, মোট জমানো টাকার অধেক পরিমাণ অঙ্ক ঋণ হিসাবে নেওয়া যাবে।